নিরুফা খাতুন: মায়ের কাছে মোবাইল চেয়েছিলেন ছাত্রী। দিতে রাজি হননি মা। উলটে পড়তে বসতে বসেছিলেন তিনি। যার পরিণতি হল ভয়ংকর। অভিযোগ, অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল ঠাকুরপুকুরে। ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম অঙ্কনা বিশ্বাস। ঠাকুরপুকুর পোড়া অশ্বত্থতলার শিবাজি কলোনির বাসিন্দা সে। করোনাকালে বাবার মৃত্যুর পর বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকত অঙ্কনা। ২০২৬ সালে মাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল তার। সূত্রের খবর, এদিন সকালে বাজারে যাওয়ার জন্য বেরচ্ছিলেন অঙ্কনার মা অঞ্জলি। তখন ওই ছাত্রী মায়ের কাছে মোবাইল চায়। কিন্তু তিনি দিতে অস্বীকার করেন। উলটে পড়তে বসতে বলেন।
বাজার থেকে বাড়ি ফিরেই হাড়হিম দৃশ্য। অঞ্জলিদেবী দেখেন, ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে নাবালিকা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় ঠাকুরপুকুর থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ নাবালিকাকে উদ্ধার করে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সামান্য মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা, নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হবে। মেয়েকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে মা।