• এ বার ভারতের পাখির চোখ পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ? রাজনাথের বক্তব্যে নয়া জল্পনা
    এই সময় | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • পাখির চোখ শুধু ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’ নয়। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশও জুড়তে পারে ভারতের সঙ্গে। রবিবার দিল্লির একটি অনুষ্ঠান থেকে পাকিস্তানের মানচিত্র বদলের ইঙ্গিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। তাঁর বক্তব্য, ‘সিন্ধু প্রদেশ আজ ভারতের সঙ্গে নাও থাকতে পারে। তবে সীমান্ত পরিবর্তন হতে পারে এবং এই অঞ্চলটি ভারতের অধীনে আসতে পারে।’

    দক্ষিণ-পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থিত সিন্ধু প্রদেশের পশ্চিম ও উত্তরে রয়েছে বালোচিস্তান, উত্তর-পূর্বে রয়েছে পাঞ্জাব (পাকিস্তান), পূর্বে রয়েছে ভারতের রাজস্থান ও গুজরাট রাজ্য এবং দক্ষিণে আরব সাগর। সিন্ধু মূলত সিন্ধু নদীর ব-দ্বীপের একটি অংশ। সিন্ধু নদীর নাম থেকেই এই অঞ্চলের নাম সিন্ধু প্রদেশ। এই প্রদেশের রাজধানী করাচি। পাকিস্তানের সেই প্রদেশ ভবিষ্যতে ভারতের সীমানার মধ্যে চলে আসতে পারে বলে মনে করছেন রাজনাথ।

    কিন্তু কেন? রাজনাথ বলেন, ‘সিন্ধি হিন্দুরা, বিশেষ করে লালকৃষ্ণ আদবানির মতো নেতাদের প্রজন্মের সময় থেকে ভারতবর্ষ থেকে সিন্ধু অঞ্চলের বিচ্ছেদ (ভারত স্বাধীন হওয়ার সময়ে এটি পাকিস্তানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়) কখনও মেনে নেয়নি।’ এখানে আদবানির একটি উক্তির কথা মনে করিয়ে দেন রাজনাথ। তিনি বলেন, ‘আদবানিজি বলেছিলেন, শুধু সিন্ধু প্রদেশেই নয়, সমগ্র ভারতে হিন্দুরা সিন্ধু নদীকে পবিত্র মনে করে। সিন্ধুর অনেক মুসলমানও বিশ্বাস করতেন, সিন্ধুর জল মক্কার জমজমের চেয়ে কম পবিত্র নয়।’

    POK অধিগ্রহণ নিয়েব বরাবরই সুর চড়িয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি। লোকসভা অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গলাতেই শোনা গিয়েছে POK ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার। তবে সিন্ধু প্রদেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে রাজনাথের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গণপ্রতিবাদ হতে দেখা যায়। মূলত, সাধারণ নাগরিকদের উপরে পাকিস্তানের বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে ও মৌলিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। অশান্তির মাঝে মৃত্যু হয় সেখানকার আট নাগরিকের। অন্য দিকে, চলতি বছরের শুরু দিকেই সিন্ধু প্রদেশেও সরকার বিরোধী আন্দোলন হতে দেখা গিয়েছে। সিন্ধু নদীর উপর নতুন খাল নির্মাণ প্রকল্পের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন সেখানকার মানুষ। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, খাল নির্মাণের ফলে মূলত পাঞ্জাবের জমির মালিকরা এবং কর্পোরেটরা লাভবান হবে।

  • Link to this news (এই সময়)