• নতুন ভূমিকায় নাক্স ভমিকা, চমকে দেওয়া সাফল্য বাংলার তিন গবেষকের
    এই সময় | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • হোমিওপ্যাথিক ওষুধ যাঁরা খান, নাক্স ভমিকার নাম তাঁদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত। পেট থেকে অন্ত্রের সমস্যা, হার্ট থেকে মাইগ্রেন, চোখ বুজে নাক্স ভমিকায় ভরসা রাখেন অনেকেই। কিন্তু সেই নাক্স যে জৈব কীটনাশক হিসেবেও কাজ করতে পারে, তা কি ভেবেছিলেন কখনও? পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেট্রোপলিটন হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিক্যুলার বায়োলজি বিভাগের একটি যৌথ গবেষণায় এমনটাই উঠে এসেছে। বাঁধাকপি, ফুলকপির মতো একাধিক গাছের পক্ষে ক্ষতিকর কীট কটন লিফ রোলারকে মারতে পারে এই নাক্স।

    ২০২৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলা এই গবেষণায় ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুর রহমান খোদাবক্স ও জুলজির সহকারী অধ্যাপিকা অস্মিতা সমাদ্দারও, হোমিওপ্যাথির চিকিৎসক দেবর্ষি দাস। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পড়ুয়া অভিদীপ্ত হাজরা, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যার গবেষক অর্ণব চক্রবর্তী ও বনানী ভট্টাচার্যের গবেষণায় উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁদের গবেষণা পত্রটি প্রকাশিত হয়েছে হেলওয়ান ইউনিভার্সিটির Trends in Advanced Science and Technology রিসার্চ জার্নালে।

    নিরাপদ জৈব কীটনাশকের খোঁজে এখন সারা পৃথিবী। এই গবেষণা নতুন পথ দেখাবে বলেই আশাবাদী গবেষকরা। অস্মিতা সমাদ্দার, অভিদীপ্ত হাজরারা জানান, স্বল্পমূল্যের হোমিওপ্যাথিক ওষুধের যে বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যকারিতা রয়েছে, এই গবেষণা সেটির প্রমাণ। আশা, এই দীর্ঘ গবেষণা আগামিদিনে হোমিওপ্যাথির কার্যকারিতাকে সুস্পষ্ট করবে এবং পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক শিল্পেও কাজে লাগবে।

    চিকিৎসক দেবর্ষি দাসও আশাবাদী, ভবিষ্যতে এই হোমিওপ্যাথিক ওষুধ বিভিন্ন ভাইরাস, ক্ষতিকারক লার্ভার DNA, ব্যাকটেরিয়ার ডিনএ, আরএনএকেও ভাঙতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি এই গবেষণা কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োগ হলে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ।

  • Link to this news (এই সময়)