আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৪ নভেম্বর থেকে এসআইআর চলছে। গত কয়েকদিনে, বারে বারে উঠে এসেছে, নানা ধরনের ঘটনা। তার মধ্যে অন্যতম, অতিরিক্ত কাজের চাপ বিএলও'দের উপর। রাজ্যের একাধিক জায়গায় কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। পরিবারের অভিযোগ তেমনটাই। এসআইআর-এর কাজের চাপে মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে। এবার ফের এক বিএলও' র অসুস্থ হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে।
তথ্য, আধারমানিক এপিসি কলোনি (জে.এস.এফ.পি) স্কুলের শিক্ষক এবং মসলন্দাপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথ নং-২০৩ এর বিএলও সুমন কুমার দাস (৪৭ বছর) রবিবার সকাল সাড়ে এগারটা নাগাদ, এনুমারেশন ফর্ম জমা নেওয়ার সময় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ১২.৫৫ মিনিটে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, এসআইএর-এর কাজ শুরুর পর থেকেই প্রবল চাপে রয়েছেন তিনি। তাঁর বেশকিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তারজন্য প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়। এসআইআর শুরু হওয়ার পর, তিনি বিএলও হিসেবে কাজ করার অতিরিক্ত চাপ অনুভব করছিলেন যার ফলে তিনি ঠিকমতো ওষুধ খাচ্ছিলেন না, তেমনটাই দাবি করেছেন সুমন নিজেই। পরিবারের অভিযোগ, এসআইআর-এর কাজ শুরুর পর থেকেই অতিরিক্ত কাজের চাপে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
রবিবার সকালেই জানা যায়, চোপড়া ব্লকে এসআইআর সংক্রান্ত অতিরিক্ত কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন এক বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)। অসুস্থ অবস্থাতেই হাসপাতালের বেডে বসে এনুমারেশন ফর্ম আপলোড করতে দেখা যায় তাঁকে। ঘটনাটি সামনে আসতেই প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
চোপড়া ব্লকের জাগিরবস্তি এলাকার ১৮৮ নম্বর বুথের বিএলও মুস্তফা কামাল জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তিনি টানা পরিশ্রম করছেন। মোট ৯১৮টি ফর্ম বিলি করতে হয়েছে তাঁকে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম সংগ্রহ, তার পর রাতে জেগে সেই ফর্ম আপলোড দুইয়ের চাপেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন তিনি। ইতিমধ্যেই অর্ধেকের বেশি ফর্ম আপলোড করা হয়ে গেছে। তবে দৌড়ঝাঁপ, মানসিক চাপ ও বিশ্রামের অভাবে শরীর ভেঙে পড়ে তাঁর।
মুস্তফা কামাল বলেন, “গত কয়েকদিন ধরেই শরীরটা ভাল লাগছিল না। পা ফুলে গিয়েছিল, হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিল। তবুও কাজ থামাইনি। ভেবেছিলাম নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আজ সকাল থেকে উঠে বসার মতো শক্তিও ছিল না।” বাধ্য হয়েই তাঁকে এদিন ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।