• ‘গাফিলতি’তে রোগীমৃত্যু, দফায় দফায় অশান্তিতে উত্তাল কল্যাণী JNM হাসপাতাল
    প্রতিদিন | ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • সুবীর দাস, কল্যাণী: নদীয়ার কল্যাণী কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার দুপুরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় উত্তেজনায় উত্তাল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আনা হয় যাত্রাসিদ্ধি এলাকার বাসিন্দা উমেশ মাহাতোকে। অভিযোগ, ৩২ বছরের উমেশকে দীর্ঘক্ষণ জরুরি বিভাগে বেডে ফেলে রাখা হয়। পরিবারের দাবি, তাঁকে সময়মতো চিকিৎসা করা হয়নি। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক একটি ইনজেকশন দেওয়ার পরই উমেশের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে পরিবারের তরফে।

    এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ। মুহূর্তের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। খবর পেয়ে দফায় দফায় হাসপাতালে ভিড় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। তাঁদের দাবি, সময়মতো ব্যবস্থা নিলে উমেশ মাহাতোর মৃত্যু এড়ানো যেত।

    পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশ কর্মীরা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কল্যাণী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী হাসপাতালে মোতায়েন করা হয়। পুলিশের সামনেই বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় প্রায় দু’ঘণ্টা বন্ধ থাকে জরুরি বিভাগের গেট। এতে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাও বিঘ্নিত ঘটে। পরবর্তীতে কল্যাণী থানার ভারপ্রাপ্ত আইসি মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

    অভিযোগের বিষয়ে হাসপাতালের সুপার ডাক্তার অতনু বিশ্বাস জানান, মৃতের পরিবারের কাছে ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি বলেন। ডাক্তার বিশ্বাস বলেন, পুরো ঘটনার সঠিক তদন্তের আগে হাসপাতালের তরফে কোনও মন্তব্য করা হবে না। হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গিয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)