• চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা! ঝাড়গ্রামে গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ার
    প্রতিদিন | ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: সরকারি নথি, স্ট্যাম্প জাল করে জেলা পরিষদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ। এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করল জামবনি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম দিব্যেন্দু পাল। বাড়ি জামবনি থানার মুড়াকাটি গ্রামে। এদিন ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে ঝাড়গ্রাম
    আদালতে তোলা হয়। বিচারক চারদিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জামবনি ব্লকের ৯ নম্বর অঞ্চলের পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার কাজ দেখাশোনার জন্য মুড়াকাটি গ্রামের নীলকান্ত পালের বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার লোয়াদা এলাকার বাসিন্দা অমিত কল। গত মার্চ মাস থেকে ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি। বাড়ির মালিকের ছেলে দিব্যেন্দু পালের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। অভিযোগ, দিব্যেন্দু অমিত কলের স্ত্রীকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদে গ্রুপ ডি পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। সেই কথায় আশ্বস্ত হয়ে গত ১৪ মার্চ অমিত কল তাঁকে এক লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকাও দেন!

    এরপর পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মেল আইডি থেকে অমিতের স্ত্রী পিঙ্কি মিদ্যা কলের মেল আইডিতে ২০ মার্চ ইন্টারভিউর জন্য মেল পাঠানো হয়। দিব্যেন্দু সরকারি লোগো, স্ট্যাম্প দেওয়া প্যাডে নিয়োগপত্রও দেখিয়েছিলেন! অভিযোগ, ওই ‘ভুয়ো’ নিয়োগপত্র দেখানোর পর কল দম্পতির কাছে ফের টাকা দাবি করেন। দাবিমতো ২৭ মার্চ সাবিনা বিশ্বাস নামে একজনের অ্যাকাউন্টে ১৩ হাজার টাকা দিতে বাধ্যও হন তাঁরা। ওই দম্পতি দু’ধাপে এক লক্ষ ৫৮ হাজার ওই সিভিককে টাকা দেন। হাতে সেই নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন।

    ওই কাগজপত্র নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদে গেলে দম্পতি বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পরে শনিবার সকালে জামবনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কল দম্পতি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতেই সিভিক ভলান্টিয়ার দিব্যেন্দু পালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ ধৃত ব্যক্তিকে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে আর কতজন জড়িত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)