বাজার কাঁপাচ্ছে ভিনরাজ্যের ফুলকপি-বাঁধাকপি, ফোঁড়ের দাপট কমাতে নজরদারিতে রাজ্য
প্রতিদিন | ২৪ নভেম্বর ২০২৫
মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: প্রায় শেষ হতে চলল নভেম্বর। সবজির দামে এখনও হাত পুড়ছে। বাজার করতে গিয়ে একেবারে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বাজারে দাম যে তুলনামূলক বেশি রয়েছে তা মেনেও নিচ্ছেন এগ্রি মার্কেটিং বিভাগের হাওড়া শাখার আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, মাঝে থাকা ফোঁড়েরা ভিন রাজ্য থেকে সবজি এনে বাজারের দাম বাড়িয়ে তুলেছে। তা রুখতেই হাওড়া শহরের বিভিন্ন বাজারে হানা দিল এগ্রি মার্কেটিং বিভাগের কর্তারা। শুধু শহরের বাজারগুলিতেই নয়, হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার বিভিন্ন বাজারগুলিতেও হানা দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি বছরে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে গ্রামাঞ্চলে চাষবাসের একেবারে দফারফা অবস্থা। তার প্রভাব থেকে বাদ যায়নি হাওড়ার গ্রামীণ এলাকা হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার আমতা দু’নম্বর ব্লক ১ নম্বর ব্লক, উদয়নারায়নপুর, বাগনান এক নম্বর ও দু নম্বর ব্লক সহ বিভিন্ন এলাকায় সবজি চাষ হয়। গ্রামীন এলাকার অনেকাংশেই বিপুল সবজির চাহিদা পূরণ করত এইসব এলাকা। কিন্তু এবারে ডিভিসির ছাড়া জল এবং বৃষ্টির জলে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এইসব এলাকায়। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগাতে তৎপর হয়েছে একশ্রেণীর ফোঁড়েরা।
এগ্রি মার্কেটিং বিভাগের অভিযোগ, ওইসব ফোঁড়েরা ব্যাঙ্গালোর বা ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড থেকে মূলত ফুলকপি বাঁধাকপি-সহ বিভিন্ন সবজি হাওড়ার বাজার এনে সরবরাহ করছে। একেবারে অবৈধভাবে বেশি লাভের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে দাম বাড়াচ্ছে সেই সমস্ত ফোঁড়েরা। এতে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়ছেন। ফুলকপি, একটু বড় সাইজের হলেই তার দাম ৪০ টাকার কাছাকাছি। এছাড়া বিভিন্ন সবজিও ৮০ থেকে ১০০ টাকার কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। এই সমস্ত ফোঁড়েদের বাড়বাড়ন্ত রুখতেই তৎপর হল এগ্রি মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের হাওড়া শাখা। বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে হাওড়া শহরের বিভিন্ন বাজারে হানা দিয়েছেন আধিকারিকরা। যদিও কাউকে পাকড়াও করা সম্ভব না হলেও পুরো বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখছেন। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, খুব শীঘ্রই ধুলোগড়ের মতো পাইকারি বাজার-সহ হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার বড় বড় বাজারেও চলবে তল্লাশি।
দপ্তরের এক কর্তা জানান, ”আমাদের কাছে খবর আছে ফোঁড়েরা ইচ্ছাকৃতভাবে সবজির দাম বাড়াচ্ছে। এটা রুখতে আমরা তৎপর হয়েছি। হাওড়ার বিভিন্ন বাজারে বাজারে আমরা হানা দিচ্ছি এবং আগামীদিনেও হানা দেব। শীঘ্রই হাওড়ার গ্রামীন এলাকার বিভিন্ন বাজারে হানা দেব।”