নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কাজ শেষ! বিএলও ওয়াহিদ আক্রম মণ্ডলকে সংবর্ধনা কমিশনের
প্রতিদিন | ২৪ নভেম্বর ২০২৫
রমেন দাস: বাংলায় চলা এসআইআরের কাজ নিয়ে উঠছে একাধিক অভিযোগ। অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে বলে সরব হয়েছেন বিএলও-রা। এমনকী একাধিক বিএলও মৃত্যুর মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি। রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিএলওদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবরও সামনে এসেছে। নির্বাচন কমিশনকে দুষছে তাঁদের পরিবার। এর মধ্যেই সামনে এল এক ব্যতিক্রমী ছবি! কমিশনের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এসআইআর সংক্রান্ত কাজ সেরে কমিশনের খাতায় ১০০-তে ১০০ পেলেন বিএলও ওয়াহিদ আক্রম মণ্ডল!
কমিশন সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তিনি এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ থেকে শুরু করে ডিজিটালাইজেশনের কাজও সেরে ফেলেছেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে আরও খবর, ওয়াহিদ আক্রম মণ্ডল রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের পার্ট নম্বর ১০১ এ বিএলও হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন। বড়চুপরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই বিএলওকে এই কাজের জন্য সংবর্ধনাও জানিয়েছেন ওই ব্লকের নির্বাচনী আধিকারিকরা।
হাঁসখালি ব্লকের এক নির্বাচনী আধিকারিক জানান, ‘‘ওয়াহিদ আক্রম মণ্ডলের দায়িত্বে ৮০৬ জন ভোটার ছিলেন। মাত্র ১৭ দিনের মধ্যেই ওই বিএলও ফর্ম বিতরণ থেকে শুরু করে ডিজিটাইজেশনের যে প্রক্রিয়া ছিল তার পুরোটাই শেষ করে ফেলেছেন।’’
কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কীভাবে সমস্ত কাজ সেরে ফেললেন ওয়াহিদ আক্রম মণ্ডল! তিনি জানান, ‘‘দুদিনে আমাকে ১০০টা করে ২০০ টা ফর্ম দেওয়া হয়েছিল। সেই ফর্ম প্রথম দুদিনেই বিতরণ করে দিয়েছিলাম।’’ ওয়াহিদ আক্রম মণ্ডলের কথায়, ‘‘আমি কোনও দিন কাজ ফেলে রাখতাম না। ঘড়ির কাঁটায় যতই সময় হোক না কেন, সেই কাজ সেরে ফেলতাম।’’ তবে মাঝে মধ্যে অ্যাপের সমস্যায় তাঁকেও যে ভুগতে হয়েছে, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই বিএলও। তবে তিনি জানান, ‘‘মাঝে মধ্যে ভাল কাজ করত অ্যাপটি। সেই সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। আর তা হওয়ার সময়েই সেই কাজ সেরে ফেলতাম।’’
উল্লেখ্য, রবিবার অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট এনুমারেশন ফর্ম বিলি হয়েছে ৭.৬৪ কোটি। রাজ্যে মোট ভোটার ৭.৬৬ কোটি। অর্থাৎ প্রায় ৯৯.৭৫ শতাংশ ফর্ম বিলি হয়ে গিয়েছে। আর ফর্ম ডিজিটাইজেশনের কাজ হয়েছে প্রায় ৪৯.২৬ শতাংশ। সংখ্যাটা ৩.৭৭ কোটি ছুঁয়েছে বলে খবর রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে।