প্রবল কাজের চাপে ‘মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ’! এবার উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু হল বিএলও’র
বর্তমান | ২৪ নভেম্বর ২০২৫
লখনউ: ভোটার তালিকায় স্পেশ্যাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর)-এর কাজ চলছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে বেশ কয়েকজন বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-এর মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এবার উত্তপ্রদেশেও মৃত্যু হল এক বিএলও-র। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজয় কুমার বর্মা নামে ওই বিএলও ছিলেন মালিহাবাদের সারওয়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষামিত্র। শুক্রবার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত বিজয়ের স্ত্রী সঙ্গীতা রাওয়াতের দাবি, এসআইআরের কাজের চাপ সহ্য করতে পারেননি স্বামী। কাজের চাপে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সঙ্গীতার দাবি, এসআইআরের কাজের জন্য বিজয়কে তহসিল থেকে বারবার ফোন করা হচ্ছিল। কাজের চাপ এবং ঘনঘন ফোনের জেরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বিজয়। প্রবল চাপের মুখে গত ১৪ নভেম্বর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পডেন বিজয়। তাঁকে চড়ক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ধরা পড়ে। ১৫ নভেম্বর আর্থিক সহায়তার জন্য বিভাগীয় কর্তাদের অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি নির্বাচনী আধিকারিকদেরও বিষয়টি জানানো হয়। তবে কেউ যোগাযোগ করেনি। এদিকে, বিজয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে ভিড় করেন এলাকার শিক্ষামিত্ররা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তাঁরা বাড়ির সামনেই সভা করেন। তাঁদের অভিযোগ, উপযুক্ত সংখ্যক কর্মী ছাড়াই বিএলওদের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দায়িত্ব দেওয়া সত্ত্বেও বিএলও-র কাজ না করায় বাহরাইচের দু’জন শিক্ষককে সাসপেন্ড করল জেলা শিক্ষাদপ্তর। জেলার বুনিয়াদি শিক্ষা আধিকারিক আশিস কুমার সিং বলেন, বরাইনবাগ প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শামা নাফিসকে ফোন করে এবং চিঠি দিয়ে কাজে যোগ দিতে বলা হয়। কিন্তু তিনি কাজে যোগ দেননি। অন্যদিকে, বলহার নৌসুর গুমিথা স্কুলের সহকারি শিক্ষক অনুরাগ সরাসরি এসআইআরের কাজ করতে অস্বীকার করেন। জেলাশাসক অক্ষয় ত্রিপাঠীর নির্দেশে তাঁদের দু’জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।