নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বাতাসে দূষণের বিষে বেহাল রাজধানী। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে রেখা গুপ্তার নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে একহাত নিল আম আদমি পার্টি (আপ)। তাদের কটাক্ষ, ‘চাচি ৪২০’এর সরকার চলছে দিল্লিতে! আপের দিল্লি সভাপতি সৌরভ ভরদ্বাজ বলেছেন, বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) নিয়ে ক্রমাগত ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে। যেখানে একিউআই ৫০০ পেরিয়ে গিয়েছে, সেখানে ৩৫০-এর বেশি দেখানোই হচ্ছে না। দিল্লি সরকার বেসরকারি নির্মাণ কাজ পর্যন্ত বন্ধ করেনি। ফলে সাধারণ মানুষ আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
উল্লেখ্য, দিল্লি এবং সংলগ্ন এনসিআর শহরগুলিতে দূষণ পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। রবিবার সকালেও ধোঁয়াশার চাদরে মোড়া ছিল রাজধানীর আকাশ। শনিবারের হিসেবে টানা ন’দিন দূষণ পরিস্থিতি সরকারিভাবেই ‘অত্যন্ত খারাপ’ অবস্থায় ছিল। রবিবারও তেমন কোনও হেরফের হয়নি। এদিন সকাল সাতটার সময় গড় একিউআই ছিল ৩৮১। অর্থাৎ ‘অত্যন্ত খারাপ’ পর্যায়েই। এরই মধ্যে পরিবেশমন্ত্রকের আওতাধীন সিএকিউএম পরামর্শ দিয়েছে, প্রয়োজনে দিল্লির সরকারি এবং বেসরকারি অফিসগুলোতে অর্ধেক কর্মী নিয়ে কাজ হোক। বাকি ৫০ শতাংশ কর্মচারী ওয়ার্ক ফ্রম হোম করুন। এমনকী গাড়ি কিংবা বাইকের পরিবর্তে আপাতত যত বেশি সম্ভব মেট্রো ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এনসিআর শহরগুলিতে দূষণ পরিস্থিতি এতই খারাপ যে, শনিবার উত্তরপ্রদেশ সরকার গাজিয়াবাদ এবং নয়ডায় যাবতীয় ডিজেল চালিত অটোর চলাচল নিষিদ্ধ করেছে।
তবে দূষণ নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হলেও তা স্বীকার করতে চাইছে না দিল্লির বিজেপি সরকার। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা এবং পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসার দাবি, বিভিন্ন কলোনি কিংবা আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীরা ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে নানা সামগ্রী জড়ো করে আগুন জ্বালান। তা দূষণের অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। সরকার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন আবাসনকে ১০ হাজার ‘হিটার’ সরবরাহ করা হয়েছে। বায়ু দূষণ রোধে সরকারি ব্যর্থতার অভিযোগে এদিনও কিছু লোকজন ইন্ডিয়া গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান। সেখানে পুলিশের সঙ্গে জনতার ধস্তাধস্তিও হয়। পুলিশের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা তাঁদের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়েছে। আহত হয়ে কয়েকজন পুলিশকর্মী আর এম এল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।