• মডিউলের মাথা হতে চেয়েই অন্যদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় উমর
    বর্তমান | ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: মেডিকেল মডিউলের ‘মাথা’ কে হবে, তা নিয়ে অন্য সঙ্গীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিল দিল্লি বিস্ফোরণে আত্মঘাতী জঙ্গি ডাঃ উমর উন নবি। মডিউলের বাকি সদস্যদের জেরা করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল এনআইএ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কাশ্মীরে বুরহান ওয়ানি বা জাকির মুসার জায়গা নিতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছিল উমর। হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার ওয়ানি ২০১৬ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিল। তার আগে জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক হামলায় জড়িত ছিল ওয়ানি। সে খতম হওয়ার পরে উপত্যকায় হিজবুল কমান্ডারের দায়িত্ব পায় জাকির মুসা ওরফে জাকির রশিদ ভাট। পরে সে আল-কায়েদার মদতপুষ্ট আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের প্রধান হয়। তদন্তে উঠে এসেছে, উমরের ইচ্ছে ছিল ওয়ানি বা মুসার মতো পরিচিতি পেতে। আর এই নিয়েই মেডিকেল মডিউলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গোলমাল শুরু হয়।

    এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, মডিউলের বাকি সব সদস্য আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার ভাবধারায় অনুপ্রাণিত ছিল। কিন্তু একা উমর আইএস এবং জয়েশ-ই-মহম্মদের ভাবধারা মেনে চলত। আইএস এবং আল-কায়েদা—দুটি জঙ্গি সংগঠনই জেহাদি মতবাদে বিশ্বাসী হলেও স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ, হিংসার মাত্রা ও ধরন এবং খলিফাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মতো বিভিন্ন বিষয়ে তারা আলাদা পন্থা অনুসরণ করে। মডিউলের অন্যতম সদস্য তথা কাশ্মীরের ডাক্তার আদিল আহমেদ রাঠেরকে মডিউলের অন্য সদস্যরা প্রধান বা ‘আমির’ বলে মেনে নেয়। আর তাতেই উমরের ক্ষোভ চরমে পৌঁছায়। বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য মডিউলের সদস‌্যরা নিজেরা ২৬ লক্ষ টাকা জোগাড় করেছিল। তা নিয়েও সদস্যদের গোলমাল শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে আদিলের বিয়েতে পর্যন্ত যায়নি উমর। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ধৃত অপর চিকিত্সক মুজাম্মিল শাকিলের হ্যান্ডলার হিসেবে কাজ করত মনসুর নামে এক ব্যক্তি। আর হাশিম নামে এক ব্যক্তির নির্দেশে কাজ করত উমর। মনসুর আর হাশিমকে আবার নিয়ন্ত্রণ করত ইব্রাহিম নামে একজন। এই তিনজনের বিষয়ে আরও তথ্য যোগাড় করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (বর্তমান)