দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ড: ৬ মাসের বকেয়া বাড়ি ভাড়া জোগাড় করে দিন, করুণ আর্জি ধৃত মৌলবির
বর্তমান | ২৪ নভেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: ‘আমার ছ’মাসের ভাড়াটা মিটিয়ে দিতে বলুন।’ এনআইএর দুঁদে আধিকারিকদের কাছে বারবার একই অনুরোধ করে চলেছে হরিয়ানার মেওয়াটের বাসিন্দা মৌলবি ইশতিয়াক। এলাকায় ধর্মপ্রচারক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। যদিও তাতে সংসার চলে না। চার সন্তানের মুখ চেয়ে নিজের ঘর দুই ডাক্তারকে ভাড়া দিয়েছিল ইশতিয়াক। বদলে মিলবে আড়াই হাজার টাকা। ওই ডাক্তাররা জানিয়েছিল, ঘরটিতে সার মজুত করতে চায় তারা। ভাড়ার অঙ্ক দেখে আর কথা বাড়ায়নি ইশতিয়াক। কিন্তু সব হিসেব বদলে গিয়েছে ১০ নভেম্বর। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে ওই ডাক্তারদের অন্যতম মুজাম্মিল শাকিল। খোঁজ মেলে জয়েশ-ই-মহম্মদের মেডিকেল মডিউলের। আর সেই সূত্র ধরেই ইশতিয়াকের ঘর থেকে উদ্ধার হয় ২ হাজার ৫০০ কেজি রাসায়নিক। যা বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহারের জন্য মজুত করেছিল মুজাম্মিল ও অপর জঙ্গি ডাঃ উমর নবি। ১২ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় ইশতিয়াককে। তারপর থেকে তাকেও টানা জেরা করা হয়েছে।
জেরায় তদন্তকারীদের ইশতিয়াক জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে মুজাম্মিল ও উমর ঘর ভাড়া নেওয়ার কথা বলে। দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী ইশতিয়াক রাজি হয়ে যায়। প্রথমদিকে সব ঠিকঠাক চললেও গত ৬ মাস আর ভাড়া দেয়নি দুই জঙ্গি। সূত্রের খবর, ইশতিয়াক যে সত্যি কথা বলছে, তা মুজাম্মিলকে জেরা করে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। আপাতত তাকে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা (এসআইএ)-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে, সে সব নিয়ে যেন কোনও চিন্তাই নেই ইশতিয়াকের। তার একটাই অনুরোধ, পরিবারের সদস্যদের কথা ভেবে ছ’মাসের বাকি ভাড়া জোগাড় করে দিক তদন্তকারীরা।