• পাথরপ্রতিমায় একের পর এক অগ্নিকাণ্ড অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও আতঙ্কে গ্রামবাসী
    বর্তমান | ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হলেও আতঙ্ক কাটছে না গ্রামবাসীদের। এখনও পাথরপ্রতিমার গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দাদের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ। বুধবার গভীর রাতের কথা এখনও তাঁরা ভুলতে পারেননি। ওই রাতে প্রায় একই সময়ে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ছটি বাড়ি ও তিনটি দোকানে আগুন ধরে গিয়েছিল। কিন্তু এই আগুন কীভাবে লেগেছিল, তা নিয়ে ছিল জল্পনা। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীরা সন্দেহের বশে গ্রামেরই এক যুবক সুজয় গিরির নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত নেমে সুজয়কে গ্রেফতার করেছে।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আগুন ধরানোর ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুজয় একাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তবে গ্রামবাসীদের অনুমান, এর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে। তাই তাঁরা এখনও আতঙ্কে রয়েছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা অমল গিরি বলেন, এই এলাকায় প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটত। সুজয় তার সঙ্গে জড়িত থাকতো। বহুবার সে ধরাও পড়েছে। তাই গ্রামবাসীরা তাকে বকাবকি করতেন। কিন্তু সেই রাগে যে সে এতগুলি দোকান ও বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেবে, তা কেউ ভাবতেও পারেনি। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, জানা নেই। কিন্তু এরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে সত্যিই খুব ভয়ের কারণ।

    রবিবার গ্রামবাসীদের সাহস জোগাতে ফের গ্রামে গিয়েছিলেন মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার ও পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীরকুমার জানা। এদিন দোকান ও বাড়ি মিলিয়ে নটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন সাংসদ। তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনা জানার পরই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই টাকা তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)