শান্তুনু কর, জলপাইগুড়ি: সংঘাত বাড়ছে হাতি-মানুষে! গরু চরাতে বেরিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু এক ব্যক্তির। মৃত ওই ব্যক্তির নাম বাহাদুর ছেত্রী। হাতির হামলাতেই এই ঘটনা বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘটনাটি ঘটেছে নাথুয়াহাট রেঞ্জের পশ্চিম খয়েরকাটা এলাকায়। খবর পেয়েই ছুটে আসে স্থানীয় বানারহাট থানার পুলিশ। আসেন স্থানীয় বন দপ্তর এবং স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা। ইতিমধ্যে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে। কার্যত প্রায় প্রত্যেকদিনই হাতির হামলায় একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এই অবস্থায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকদিনের মতো রবিবার বাহাদুর ছেত্রী এবং তাঁর বেশ কয়েকজন সঙ্গী গরু চরাতে জঙ্গলে যান। সেই সময়ই বনকর্মীরা নাথুয়া–আলতাডাঙ্গা চা বাগানে আটকে পড়া একটি হাতির পালকে নজরে রাখছিলেন। স্থানীয় মানুষজন মনে করছেন, সেই সময় জঙ্গলের অপর প্রান্ত থেকে আরও তিনটি হাতির দল ধেয়ে আসে। সেই দলই অতর্কিতে হামলা চালায় বাহাদুর ছেত্রীর উপর। শুধু তাই নয়, ওই সময় হাতির তাড়া খেয়ে বাহাদুরের সঙ্গীরা বাড়ি ফিরে আসলেও খোঁজ মিলছিল না বছর ৫৫ এর বাহাদুর ছেত্রীর।
এরপরেই তাঁর খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় বন দপ্তর। আজ সোমবার সকালে ঝোপের মধ্যে থেকে বাহাদুরের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গেই বানারহাট থানায় খবর দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই ফালাকাটা এলাকায় হাতির হামলায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, রবিবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে চোখের সামনে বিশালাকার হাতি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন এক তরুণী। ভয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।ঘটনাটি ঘটে মালবাজারের চালসা সংলগ্ন শালবাড়ি মোড় এলাকায়। একের পর এক ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা।