• ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’র আশঙ্কা, ছাব্বিশের ভোটে বাংলার ‘মুখ’কে প্রচারে আনতে নারাজ বিজেপি!
    প্রতিদিন | ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ছাব্বিশের নির্বাচনে ‘বিকল্প মুখ’ কে তা বলবে না বিজেপি। বাংলায় দলের কাউকে ‘মুখ’ করে প্রচারে নামতে নারাজ দিল্লি। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই কোনও নেতাকেই ‘মুখ’ করে ভোটে লড়তে চায় না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এখনও পর্যন্ত এরকমই সিদ্ধান্ত শীর্ষস্তরের। দলের একাংশের দাবি থাকা সত্ত্বেও একুশের ভোটে কাউকে মুখ করে লড়েনি বিজেপি। এবারও দলের একাংশের দাবি, কোনও নেতাকে মুখ করে লড়াইয়ে নামা হোক। কিন্তু দলের অপর অংশ বলছে, নির্দিষ্ট কাউকে মুখ করলে, অন্য নেতাদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে ভোটে। কারণ, বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। তাই নির্দিষ্ট কাউকে বিকল্প মুখ হিসাবে ঘোষণা করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। দলের মধ্যে কোন্দল বাড়তে পারে।

    তবে গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, বিকল্প মুখ হিসাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীই পছন্দ অমিত শাহর। অলিখিতভাবে সেটাই ধরে রাখা যায়। কিন্তু শুভেন্দুর নাম এই মুহূর্তে সামনে আনতে চান না শাহরা। তবে শুভেন্দুকে আরও বেশি করে গুরুত্ব দিয়েই রাজ্যজুড়ে ভোট প্রচার চালানো হবে। কারণ, বঙ্গ বিজেপির আরও তিন শীর্ষ নেতা রয়েছেন। তাঁদের আলাদা অনুগামীরাও রয়েছেন। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের একাধিক অনুগামী রয়েছে। আবার দিলীপ ঘোষ এখনও দলের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়। আর সুবক্তা, সকলের পছন্দের শমীক ভট্টাচার্য তো রয়েছেনই। কাজেই আলাদা করে কোনও মুখকে সামনে এনে দলের কোনও গোষ্ঠী বা নেতৃত্বকেই চটাতে চায় না দিল্লি। আবার এমনটাও হতে পারে, বিকল্প মুখ হিসাবে এমন কাউকে দিল্লি ভাবছে যিনি প্রথম সারির কয়েকজন নেতার মধ্যে পড়ছেন না।

    এরকম কোনও মুখও দিল্লির নেতাদের কাছে ‘রেডি’ আছে বলে খবর। যেটা মোদি-অমিত শাহরাই জানেন। গত একুশের নির্বাচনেও কয়েকজনকে প্রার্থী করা হয়েছিল যাঁরা প্রথম সারির সক্রিয় নেতৃত্বের মধ্যে পড়েন না। তাঁরা সকলেই অবশ্য পরাজিত হয়েছিলেন। এবারও নির্বাচনে সেরকম কয়েকজনকে প্রার্থী করা হবে দিল্লির নির্দেশেই। আর প্রচারে কিন্তু সেই মোদি-শাহর উপরই ভরসা রেখে ভালো ফলের আশায় বঙ্গ বিজেপি নেতারা। কারণ, বাংলায় দলের সংগঠন এখনও যথেষ্ট পোক্ত নয়-এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই রাজ্য বিজেপির মূল নেতাদের বিশ্বাস, বাংলার নির্বাচনী লড়াইয়ে বাজিমাত করতে পারবেন মোদি-শাহরাই। রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার দাবি, “সংগঠনের চেয়ে বড় শক্তি মোদি ও অমিত শাহ। ওঁদের প্রচারই বাংলায় নির্বাচনের মোড় ঘুরিয়ে দেবে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)