জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এনুমারেশন ফর্ম (Enumeration Form) ফিলআপ শেষ হতে বাকি আর ১০ দিন। তবে এখনও পশ্চিমবঙ্গের মোট এনুমারেশন ফর্ম ৫০%-ও ডিজিটাইজড হয়নি (Enumeration Form Digitisation)। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সূত্রে এমনটাই খবর। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৩ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট ৭ কোটি ৬৬ লাখ ভোটারের মধ্যে ৭ কোটি ৬৪ লক্ষকে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়ে গিয়েছে (SIR in Bengal)। ৯৯.৭৫% এনুমারেশন ফর্ম বিলির কাজ সমাপ্ত। তবে বিএলও-দের সংগ্রহের পর সেই এনুমারেশম ফর্মের ডিজিটাইজেশন হয়েছে ৩.৭৭ কোটি। শতাংশের হিসেবে যা ৪৯.২৬%।
SIR নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ফের মামলা
তবে খুব শিগগিরই ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে আত্মবিশ্বাসী কমিশন। প্রসঙ্গত, এই এনুমারেশন ফর্মের ডিজিটাইজেশনের কাজটিতে অসম্ভব চাপ রয়েছে বলে দাবি BLO-দের। কাজের চাপে রাজ্যের ২ বিএলও-র আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এদিকে আজই আবার SIR নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ফের দায়ের হয়েছে মামলা (SIR in Bengal case in Kolkata High Court)। যদিও মামলা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি করে দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল। কারণ একই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন। তাই এই মুহূর্তে কোনও হস্তক্ষেপ নয় বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে কলকাতা হাইকোর্টের মামলার ভবিষ্যত।
ফর্ম ফিলআপ করলেই কি ভোটার তালিকায় নাম থাকবে?
উল্লেখ্য, ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে SIR-এর ফর্ম ফিলআপ প্রক্রিয়া, অফলাইন ও অনলাইন (SIR Form Fillup)। ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে SIR-এর প্রথম খসড়া ভোটার তালিকা (Draft Voter List)। এখন সবার মনেই প্রশ্ন, ফর্ম ফিলআপ করলেই কি ভোটার তালিকায় নাম থাকবে? কাদের নাম বাদ যাবে? শুনানিতে কাদেরকে ডাকবে কমিশন? কাদের নাম বাদ যাবে? ১) যারা ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এনুমারেশন ফর্ম ফিলআপ করে জমা দেবেন না, তাদের নাম বাদ যাবে। ২) বাড়ি বাড়ি ফর্ম বিলির সময় যেসব ভোটারদের ঠিকানায় পাওয়া যায়নি, ফর্ম দেওয়া যায়নি, তাঁদের নামও থাকবে না খসড়া ভোটার তালিকায়, যদি না তাঁরা অনলাইনে জমা দিয়ে থাকেন। ৩) মৃত ভোটারদের নাম বাদ যাবে। ৪) ডবল এন্ট্রি ভোটারদের নাম বাদ যাবে। একই ভোটারের নাম ২ জায়গায় পাওয়া গেলে, তাদের নাম বাদ যাবে। ৫) এনুমারেশন ফর্ম জমা করলে, তবেই নাম থাকবে তালিকায়, নচেৎ বাদ।
শুনানিতে কাদের ডাক পড়বে?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, SIR ম্যাপিংয়ে যদি গরমিল পাওয়া যায়, তাহলে শুনানিতে ডাকা হবে। ২০০২ সালে নিজের নাম না থাকুক, কিন্তু বাবা-মা বা অন্য কোনও আত্মীয়ের নাম না থাকলেও শুনানিতে ডাকা হবে। এনুমারেশন ফর্মের তথ্য এবং নির্বাচন কমিশনের তথ্যের অমিল হলে শুনানিতে ডাকা হবে সেই ভোটারকে।