পিয়ালী মিত্র: কসবাকাণ্ডে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ২১ নভেম্বর রাত ৯.৪৫ হোটেল চেকিং করে তিনজন। দুটো রুম। দুজন একটি রুমে। বাকি একজন অন্য রুমে। সুইগিতে খাবার অর্ডার করে। পরদিন চেক আউট না করায় খোঁজ করতে গিয়ে CA আদর্শের দেহ উদ্ধার।
ময়নাতদন্তে খুনের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, আদর্শের নাকের হাড় ভাঙা ছিল। শরীর ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া যায়। এমনকী রুমে ক্ল্যাশের প্রমাণ পাওয়া যায়। দুই অভিযুক্ত ধ্রুব এবং কোমল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করে। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। আদর্শের ময়নাতদন্তে আরও জানা গিয়েছিল, তাঁর শরীরে অ্যালকোহল পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যুর কারণ: শ্বাসরোধ, যা গলায় চেপে ধরার কারণে ঘটেছে।
দুজনকে জেরা করে কিছু ফ্যাক্ট পাওয়া গিয়েছে। ধ্রুব এবং কোমল দুজনে দমদমে লিভ ইন করে। তাদের দাবি রুমে পার্টি হয়। তারপর ক্ল্যাশ হয়। নিহত আদর্শের দুটো ফোন, ১৫০০ টাকা, দুটো এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। হোটেল থেকে বেরিয়ে বাইক রাইড বুক করে চলে যায়। তারপর উল্টোডাঙা একটি এটিএম থেকে ১১ হাজার টাকা তোলে। জানা গিয়েছে, আদর্শ এবং কোমলের Bumble aap-এ আলাপ। আদর্শের মোবাইল নিয়ে সিম চেঞ্জ করে। তারপর ফরগট পাসওয়ার্ড করে টাকা তোলে তাঁর মোবাইল থেকে। মোবাইল থেকে অ্যাপ ডিলিট করে দিয়েছে অভিযুক্তরা। কতদিন ধরে অ্যাপ ব্যবহার করেছে, তার তদন্ত চলছে। আরও কারও সঙ্গে এরা কিছু করেছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে।
ধ্রুব এবং কোমল একই স্কুলে ১১ থেকে পড়ত একই স্কুলে পড়ত, লাটবাগানে। ২০ নভেম্বর কোমলের সঙ্গে আদর্শের Bumble অ্যাপে প্রথম কথা হয়। ২১ নভেম্বরের দেখা করতে আসে।
উল্লেখ্য, রবিবার ধ্রুব এবং কোমল দুজনে আত্মসমর্পন করে। জেরায় ধৃতরা দাবি করে যে, আদর্শ মেঝেতে পড়ে যাওয়ার পর তার নাক থেকে রক্ত বেরোতে দেখে তারা হোটেল থেকে বেরিয়ে যায়। পা বাধার কারণ হিসেবে ধৃতদের দাবি আদর্শ যাতে উঠে গিয়ে আবার ওদের মারধর করতে না পারে সেজন্য পা বেঁধে দিয়েছিল।