ভোটার তালিকা থেকে উধাও প্রাক্তন পঞ্চায়েত নেতার পরিবার! ‘তৃণমূল বলেই বাদ?’ প্রশ্ন পরিবারের
প্রতিদিন | ২৪ নভেম্বর ২০২৫
সুমন করাতি, হুগলি: এসআইআর নিয়ে ফের উত্তেজনা বাংলায়। প্রক্রিয়ায় সমস্যা রয়েছে এই কথা বলে প্রথম থেকে এর বিরোধীতা করেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েছে বেশ কিছু তৃণমূল নেতার পরিবারের।
এবার নজরে গোঘাটের শ্যামবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত। নাম বাদ পড়েছে প্রাক্তন প্রধানের গোটা পরিবারের। জানা গিয়েছে, স্ত্রী ১৯৯৮ সালে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যা। স্বামীও পাঁচ বছর পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। অথচ নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা ২০০২ সালের তালিকায় নাম নেই গোটা পরিবারের। পরিবারের সদস্যদের প্রশ্ন তাঁরা তৃণমূল করেন বলেই কি নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে? তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ায় তাঁরা নির্বাচন কমিশনের দিকেই আঙুল তুলছেন।
ঘটনাটি গোঘাটের শ্যামবাজার পঞ্চায়েত এলাকার। জানা গিয়েছে, শ্যামবাজারের লালপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ কাদের দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী। তিনি একসময় পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। তাঁর স্ত্রীও পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে সদস্য হয়েছিল। তাঁদের ছেলে শেখ হারুন বর্তমানে এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। যদিও পরিবারের ছয় জন সদস্যের নাম ২০০২ সালের তালিকা থেকে উধাও। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, তৃণমূল করার জন্যই তাঁদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা বলেই অভিযোগ পরিবারের।
এদিকে, ভোটার তালিকায় নাম থাকায় পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত। যদিও বিজেপির অভিযোগ এই ঘটনাকে অযথা রাজনৈতিক রঙ দিচ্ছে শাসক দল। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই জানা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ রূদ্রর নাতি তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক রূদ্র এবং তাঁর পরিবারের নাম নেই ২০০২ সালের তালিকায়। অশোক রূদ্র তৃণমূল রাজ্য কার্যকরী কমিটির সদস্য এবং কাউন্সিলার। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি ছিলেন তিনি। যুব তৃণমূল ও তৃণমূল শিক্ষা সেলের রাজ্য নেতাও ছিলেন। বর্তমানে তিনি আসানসোল পৌরনিগমের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁর বাবার রেলের চাকরির সার্টিফিকেট রয়েছে। তাঁর জন্ম সার্টিফিকেট রয়েছে।