৩৬ ঘণ্টা পর মন্দারমণিতে উদ্ধার নিখোঁজ পর্যটকের দেহ
প্রতিদিন | ২৪ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার মন্দারমণিতে নিখোঁজ পর্যটকের দেহ। সোমবার সকালে দেহটি সমুদ্রে ভেসে উঠতে দেখা যায়। কোস্টাল থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সকলে। নিছক দুর্ঘটনা নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। নিহতের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নিহত সুরত বসু। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা। বাবা, মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা পেশায় পুলিশ আধিকারিক। মা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মী। তিনি নিজে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ। কলকাতায় বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। সপ্তাহান্তে শনিবার বিকেলে চার বন্ধু ও এক বান্ধবী, মোট পাঁচজন মন্দারমণি বেড়াতে গিয়েছিলেন। বন্ধুরা মন্দারমণির সমুদ্রসৈকতের ফাঁকা জায়গায় বসে গল্পগুজব করছিলেন। সেসময় সুরত সমুদ্রে স্নান করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। সেই মতো তিনি একাই সমুদ্রে নেমে পড়েছিলেন বলে প্রাথমিক খবর। বেশ কিছুটা দূরে চলে গিয়েছিলেন। তারপর আর ঢেউয়ে নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি। কিছু সময়ের মধ্যে তিনি সমুদ্রে তলিয়ে যান বলে অভিযোগ।
বন্ধুরাই আশপাশের লোকজনদের খবর দেন। ওই যুবককে উদ্ধারের জন্য নুলিয়ারাও জলে নেমেছিলেন। কিন্তু অন্ধকার নেমে আসায় তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। রবিবার ফের ওই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয় মন্দারমণির সমুদ্রে। ওইদিনও খোঁজ পাওয়া যায়নি পর্যটকের। সোমবার ফের তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। ইতিমধ্যে দেহ সমুদ্রে ভেসে ওঠে। এরপর দেহ উদ্ধার হয়। মন্দারমণি কোস্টাল থানার ওসি অর্কদীপ হালদার জানান, “তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকেই সমুদ্রে তল্লাশি চলছিল। সোমবার সকালে যুবকের দেহ সমুদ্রে ভেসে ওঠে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।” ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ছেলের অকালপ্রয়াণে দিশাহারা তাঁর পরিবার। চোখের জল বাঁধ মানছে না বাবা ও মায়ের। ভেঙে পড়েছেন পরিবারের অন্যান্যরাও। একের পর এক ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই মন্দারমণি-দিঘা উপকূলের পর্যটক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।