• CEO-এর কেবিনের সামনে বসে বিক্ষোভ BLO সংগঠনের সদস্যদের, তুলতে গেলে প্রবল ধস্তাধস্তি
    এই সময় | ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়ে ডেপুটেশন দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে সোমবার BLO অধিকার রক্ষা কমিটি যা করেছে, তাকে নজিরবিহীন বলছেন কেউ কেউ। রাস্তায় সংগঠিত হওয়া বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছয় রাজ্যের CEO-এর ঘরের সামনে। সোমবার দুপুরে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। বিকেলে ধরনায় বসলেন রাজ্যের মুখ‍্য নির্বাচনী আধিকারিকের ঘরের সামনে। CEO অফিসের ভিতরে মনোজকুমার আগরওয়াল-এর ঘরের সামনে ধরনায় বসেন BLO অধিকার রক্ষা কমিটির প্রতিনিধিরা। যদিও পরে তা তুলে দেওয়া হয়।

    বিবাদী বাগে বামার লরি বিল্ডিং-এর তৃতীয় তলায় রাজ্যের মুখ‍্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল-সহ অন্যান্য নির্বাচনী আধিকারিকদের অফিস। সোমবার সকালে BLO-দের একাধিক সমস্যাকে সামনে রেখে পথে নামে BLO অধিকার রক্ষা কমিটি। এ দিন কলেজ স্কোয়ার থেকে রাজ্যের CEO দপ্তর পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। মিছিল যখন CEO অফিসের বাইরে এসে পৌঁছয়, তখন মিছিলে থাকা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশকর্মীদের ধস্তাধস্তি বাধে।

    অভিযোগ, পুলিশের ব্যারিকেড টপকে অফিসে ঢোকার চেষ্টা করলে, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। এমনকী বিক্ষোভকারীদের একজন অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালেও।

    যদিও BLO-দের অভিযোগ, ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য ১৩ জনের নাম পাঠানো হয়। সেই মতোই ভিতরে আসেন। এর পরেই তনুশ্রী মোদক ভট্টাচার্য নামে এক BLO-কে ফোন করে বলা হয়, এখনই জেশপ বিল্ডিংয়ে যেতে হবে। দ্রুত না গেলে শো-কজ করা হবে বলেও ফোনে জানানো হয় বলে দাবি তাঁর।

    CEO-এর অফিসের বাইরে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন BLO অধিকার রক্ষা কমিটির প্রতিনিধিরা। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বামার লরি বিল্ডিং-এর তৃতীয় তলা। পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন স্বয়ং ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী, CEO অফিসের ফ্লোরে এসে কোনও বিক্ষোভ দেখানো যায় না। এই নিয়েও বচসা হয়।

    অভিযোগ, টেনে বের করে আনা হয় বিক্ষোভকারীদের। BLO অধিকার রক্ষা কমিটির কনভেনার মইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ভিতরে ডেপুটেশন দিতে আসি। কিন্তু আমাদের দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয় CEO-র ঘরের বাইরে। বারবার অভিযোগ তুলেছি, নির্বাচন কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে। আমরা SIR বিরোধী নই। তবে, BLO-দের কাজের ক্ষেত্রে আরও সময় বাড়ানো হোক। অনেকে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এমনকী চাপে পড়ে অনেকে আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন। আমরা চাই এগুলো বন্ধ হোক। আমাদের দাবি মানা না হলে, বৃহত্তর আন্দোলনের পথ বেছে নেবো আমরা।’

  • Link to this news (এই সময়)