কায়েশ আনসারি: আজ বিকেলে সান্দাকফু (Sandhakpur) ভ্রমণে গিয়ে আবারও এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে সান্দাকফু বেড়াতে গিয়েছিলেন বৃদ্ধা। সেখানে পৌঁছেই প্রবল শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় তাঁর। অস্কিজেনের অভাবে মারা গেলেন তিনি। তিনি কলকাতার যাদবপুরের বাসিন্দা।
মৃত পর্যটকের নাম অনিন্দিতা গাঙ্গুলী (Anindita Ganguly), তাঁর বয়স ছিল ৭২ বছর। তিনি এবং তাঁর ৬৫ বছর বয়সী বোন গতকাল টুমলিং (Tumbling) পরিদর্শনে যান এবং সেখানে একটি হোম স্টে-তে রাত কাটান।
শীতের শুরুতেই পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছেন পাহাড়ে। দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। স্লিপিং বুদ্ধ দেখার টানে পর্যটকরা পাড়ি দিচ্ছেন সান্দাকফুতেও। কিন্তু মরশুমের শুরুতেই মর্মান্তিক খবর। আজ, সোমবার সান্দাকফুতে প্রবল শ্বাসকষ্টে প্রাণ হারালেন ৭২ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা পর্যটক। জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পর্যটকের নাম অনিন্দিতা গাঙ্গুলি। তিনি তাঁর বোনের সঙ্গে চারদিন আগে দার্জিলিংয়ে পৌঁছে লেপচা জগতে গিয়েছিলেন। এরপর তাঁরা তুমলিংয়ে যান। লক্ষ্য ছিল সান্দাকফু যাওয়া। আজ সোমবার সকালে তাঁরা গাড়ি করে সান্দাকফু পৌঁছেছিলেন। আজ সকালে তাঁরা সান্দাকফুর উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার জন্য ল্যান্ড রোভার ডাকেন। টুমলিং থেকে তাঁদের যাত্রা শুরু হয়। ল্যান্ড রোভারের চালক তাঁদের সতর্ক করেছিলেন যে আবহাওয়া খুব ঠান্ডা, তাই সান্দাকফু না যাওয়াই ভালো। কিন্তু পর্যটকরা বলেন যে তাঁদের ঠান্ডার অভিজ্ঞতা আছে এবং তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রও মজুত আছে।তারপরই প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ওই বৃদ্ধার। তাঁকে দ্রুত সুখিয়াপোখরি হাসপাতালে নামিয়ে আনা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা অনিন্দিতা দেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
চালক সান্দাকফুর দিকে যাত্রা শুরু করেন, কিন্তু তাঁরা হোম স্টে-তে পৌঁছানোর আগেই আনন্দিতা দেবীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
ল্যান্ড রোভারের চালক দ্রুত তাঁকে মানেভঞ্জন (Manabhajna)-এর দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যান এবং সেখান থেকে সরাসরি সুকিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছান। সেখানে ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আগামীকাল দার্জিলিং-এ তাঁর ময়নাতদন্ত (postmortem) করা হবে।
জিটিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ চৌহান বলেন, 'সান্দাকফুতে পৌঁছনোর ১০-১৫ মিনিট পর অনিন্দিতা দেবীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সিঙ্গালিলা ল্যান্ড রোভার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা তাঁকে দ্রুত গাড়িতে সুখিয়াপোখরি হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছই। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।' চৌহান জানান, জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর মৃত পর্যটকের দেহ শিলিগুড়িতে পাঠানো হবে। বাড়িতে দেহ নিয়ে যেতে যেন সমস্যা না হয় সেটাও জিটিএ দেখছে। সুখিয়াপোখরির বিডিও আরোগ্য গোঠাও বলেন, 'উচ্চতার কারণে অক্সিজেনের অভাবে দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তিনি বয়স্ক ছিলেন। তাই চাপ নিতে পারেননি।'