• নৌসেনার অন্তর্ভুক্ত আইএনএস মাহে
    বর্তমান | ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • মুম্বই: আরও শক্তি বাড়ল ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার। সোমবার নৌসেনার অন্তর্ভুক্ত হল আইএনএস মাহে। তা আদতে মাহে শ্রেণির প্রথম সাবমেরিন বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ। এর সাহায্যে সমুদ্রের স্বল্প গভীরতায় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারবে নৌবাহিনী। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। নৌসেনা সূত্রে খবর, এই প্রথমবার একজন সেনাপ্রধান যুদ্ধজাহাজ অন্তর্ভুক্তিতে হাজির ছিলেন। দ্বিবেদী বলেন, ‘এর সাহায্যে সমুদ্র এলাকায় নৌসেনা আরও দক্ষ হয়ে উঠবে। উপকূলবর্তী এলাকায় আরও নিখুঁতভাবে পাহারা দেওয়া যাবে। এই যুদ্ধজাহাজের মাধ্যমে নিজেদের নির্মাতা হিসেবে পরিণত করেছে নৌসেনা। এখন তারাই যুদ্ধের বাহন তৈরি করছে।’ তিন বাহিনীর সমন্বয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সেনাপ্রধান। তাঁর বার্তা, ‘সশস্ত্র বাহিনীর অন্যতম শক্তি হল সমন্বয়। অপারেশন সিন্দুর এই বক্তব্যের সঠিক উদাহরণ। লাদাখ থেকে ভারত মহাসাগর। প্রত্যেক অঞ্চলে তিন বাহিনী যৌথভাবে কাজ করে চলেছে।’ প্রসঙ্গত, পহেলগাঁও হামলার পরেই পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। 

    আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম নিদর্শন আইএনএস মাহে। নৌসেনা সূত্রে খবর, যুদ্ধজাহাজের ৮০ শতাংশ যন্ত্রাংশ দেশীয় পদ্ধতিতে নির্মিত। যুদ্ধজাহাজটি তৈরি করেছে কোচি শিপইয়ার্ড লিমিটেড। বিধ্বংসী টর্পিডো ও ডুবোজাহাজ ধ্বংসকারী রকেটের সাহায্যে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করে পারবে এই রণতরী। যুদ্ধজাহাজের ভিতরে রয়েছে অত্যাধুনিক সেন্সর ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। অর্থাৎ, অপারেশনের সময় সহজেই বার্তা আদান-প্রদান করা যাবে। আইএনএস মাহের ম্যাস্কট চিতা। মাথায় রয়েছে ‘উরুমি’- কালারিপ্পায়াত্তুর তলোয়ার। তৎপরতা ও নিখুঁত কাজের প্রতীক এই তলোয়ার। সবমিলিয়ে আগামী দিনে নৌসেনার ব্রহ্মাস্ত্র হয়ে উঠতে পারে এই ‘সাইলেন্ট হান্টার’।
  • Link to this news (বর্তমান)