তিরুপতির লাড্ডুতে ভেজালের অভিযোগ ‘রাজনৈতিক প্রচার’, দাবি মন্দির কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের
বর্তমান | ২৫ নভেম্বর ২০২৫
তিরুমালা: ২০ কোটি লাড্ডুতে মিশেছে ভেজাল ঘি। টানা ৫ বছর সেইসব লাড্ডু প্রসাদ হিসেবে পেয়েছেন ভক্তরা। তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদ সম্পর্কে এই অভিযোগ নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। তবে এই দাবি মানতে নারাজ মন্দির কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা ওয়াইএসআরসিপি সাংসদ ওয়াই ভি সুব্বা রেড্ডি। তাঁর দাবি, কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ছাড়াই এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। বিষয়টা রাজনৈতিক প্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়।
দেশের জনপ্রিয় তীর্থস্থানগুলির অন্যতম অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির। প্রতিদিন লক্ষাধিক ভক্তের ভিড় জমে এই মন্দিরে। ধর্মীয় কারণের পাশাপাশি মন্দিরের অন্যতম আকর্ষণ প্রসাদি লাড্ডু। আর তাতেই নাকি মিশেছে ভেজাল। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম ট্রাস্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান বি আর নাইডু স্বয়ং একথা স্বীকার করেছেন। এই নিয়ে কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান ওয়াই ভি সুব্বা রেড্ডিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এরই মাঝে মন্দিরের প্রসাদ সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসে। বলা হয়, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিরুমালা মন্দিরে যে ২০ কোটি লাড্ডু অজস্র ভক্তের মধ্যে বিলি হয়েছে, সেগুলি ভেজাল ও বিষাক্ত উপকরণে তৈরি। এর আগে তিরুমালা মন্দিরের প্রসাদে অ্যানিম্যাল ফ্যাট বা প্রাণীজ প্রোটিন থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট অবধি। আদালতের নির্দেশে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ দল (সিট)। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেই সুব্বা রেড্ডির দাবি, ‘সিটের তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই, পুরনো গল্প নতুন করে প্রচারিত হচ্ছে।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘সিট কি লাড্ডুতে পশুর চর্বির উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে? ল্যাবের প্রমাণ কোথায়?’
যাবতীয় বিতর্কের মূলে ভেজাল ঘি। যা উত্তরাখণ্ডের ভোলে বাবা ডেয়ারি থেকে পাঠানো হত। এ প্রসঙ্গে সুব্বা রেড্ডির দাবি, গুণমান নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় চারটি ঘিয়ের ট্যাঙ্কার বাতিল করা হয়েছিল। প্রসাদি লাড্ডু তৈরিতে তা ব্যবহারই করা হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ‘ঘিয়ের ট্যাঙ্কারগুলি বাতিলের কথা স্পষ্টভাবে জানানো সত্ত্বেও ফের ভেজালের দাবি কেন উঠছে? এর ফলে ভক্তদের বিশ্বাসকে নষ্ট করতে পারে।’