চড়িয়াল খাল বরাবর বাড়ছে বসতি, পরিবহণের সমস্যা নিয়ে চিন্তায় বাসিন্দারা
বর্তমান | ২৫ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, বজবজ: জোকা মেট্রো চালুর পর থেকে সংলগ্ন চড়িয়াল খালের ধার ধরে আশুতি হয়ে মহিষগোট ও বজবজ যাওয়ার দিকে হু হু করে বসতি বেড়েছে। পনেরো বছর আগেও লোকজন এদিকে আসার কথা ভাবত না। এখন রাস্তার উত্তর দিকে তাকালে দেখা যাবে পরপর পাকা একতলা ও দোতলা বাড়ি। একাধিক বড় নির্মাণ প্রকল্পও হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক বাংলো আকারের বাড়ি। শহুরে চাকুরিজীবী থেকে ব্যবসায়ীরাও সেখানে বাড়ি, জমি কিনছেন। জনপদ ও বসত বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। বেহালা চৌরাস্তা থেকে ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের বিডিও অফিস এবং কালীতলা আশুতি থানা চলে আসবে এই অঞ্চলে। সেজন্য জমিও অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অমল মণ্ডল, দিবাকর বিশ্বাস, সরস্বতী দাসের মতো অনেকেই বলেছেন, জোকা মেট্রো স্টেশন তৈরির পর যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম হবে বলেই এই অঞ্চলে জমি কিনে বাড়ি করেছিলাম। পরিচিত আরও অনেকে জমি কিনে রেখেছেন। কিন্তু একটা বড় সমস্যা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। সেটা হল পরিবহণ ব্যবস্থা। চড়িয়াল খাল ধরে মহিষগোট, আশুতি হয়ে দ্রুত জোকা স্টেশন ও ডায়মন্ডহারবার জাতীয় সড়কে পৌঁছনো যায়। কিন্তু এত কাছে হলেও দ্রুত যাওয়ার উপায় নেই। কারণ এখনও পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারিভাবে কোনও যান চালু হয়নি। ফলে এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর বের হওয়ার উপায় নেই। কারণ গাড়ি চলাচল না থাকায় এলাকা নির্জন হয়ে যায়। এনিয়ে প্রশাসনের কাছে দরবার করেও সাড়া মেলেনি। ঠাকুরপুকুর মহেশতলার ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার এবং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিপ্লব মণ্ডল বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ আগামী দিনে বিডিও অফিস ও থানা ওই অংশে চলে আসবে। তাই জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে পরিবহণ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডলের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জোকা থেকে মহিষগোট পর্যন্ত পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতির আশ্বাসও দিয়েছেন।