• ১ মাস ধরে বন্ধ ময়লা তোলা, ক্যানিং হাসপাতালে জমছে আবর্জনার পাহাড়
    বর্তমান | ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জঞ্জালের স্তূপ জমছে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। স্বাস্থ্যউদ্ধারের জায়গায় রীতিমতো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মশাবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ রোগী ও তাঁদের পরিজনরা। যে সংস্থাকে আবর্জনা সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা ঠিকভাবে কাজ করছে না বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মাসখানেক হল এই অবস্থা। বিভিন্ন স্তরে এই নিয়ে চিঠিও দিয়েছে তারা। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।

    হাসপাতাল সুপার পার্থসারথি কয়াল বলেন, এক মাস ধরে ময়লা সংগ্রহ বন্ধ। যারা এই কাজ করে, তারা বলছে আবর্জনা ফেলার নাকি জায়গা নেই। যেটা ছিল সেটা ভরে গিয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি, ফলে এতদিনে কয়েকশো কেজি বর্জ্য জমে গিয়েছে।

    হাসপাতালটি দিঘিরপাড় পঞ্চায়েত এলাকায় অবস্থিত। পঞ্চায়েতই এই আবর্জনা সংগ্রহ করে ফেলার দায়িত্বে আছে। তারা অবশ্য একটি সংস্থাকে সেই কাজ করার বরাত দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য মাসে ৪০ হাজার টাকা করে দিতে হয়। তবে পঞ্চায়েতে কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশন ইউনিট তৈরির কাজ চলছে। সেটা হয়ে গেলে সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে, দিনের পর দিন হাসপাতালের বর্জ্য প্যাকেটবন্দি করে ফেলে রাখা হয়েছে। রোগীর পরিজনরা বলেন, অনেকদিনের জঞ্জাল থেকে দুর্গন্ধ বেরচ্ছে। মাছি ভনভন করছে। এভাবে চললে তো ভালো হওয়ার জায়গায় রোগীদের মধ্যে আরও অনেক রোগ বাসা বাঁধবে।

    হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, আবর্জনা সরানো নিয়ে জটিলতা কাটাতে বিষয়টি স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে। আর যাদের আবর্জনা সরানোর দায়িত্ব, সেই দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের প্রধান শিলাদিত্য রায় বলেন, জঞ্জাল যেখানে ফেলা হয়, সেটি খোলা জায়গা। কুকুর, বিড়াল আবর্জনা মুখে করে নিয়ে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে দেয়। তাই আপাতত সেখানে ময়লা ফেলা যাচ্ছে না। কিন্তু হাসপাতালে জমে যাওয়া আবর্জনা দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)