পিয়ালী মিত্র: কসবা কাণ্ডে সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের দাবি, জেরায় ধৃতদের দাবি একটি নির্দিষ্ট টাকার অঙ্কের ডিল হয়েছিল আদর্শের সঙ্গে ওই তরুণীর। সেই টাকা পুরো দিতে অস্বীকার করেন CA আদর্শ সেই নিয়ে বচসা। সূত্রের আরও খবর, ওই যুগল এসকর্ট সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত। তদন্তে এমন প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের দাবি, শুধু টাকা নয় আরও কিছু শর্ত অমান্য করার চেষ্টা করেন ওই যুবক। সে নিয়ে বচসা চরমে ওঠে, তা নিয়ে বচসার জেরে খুন।
আদর্শের ময়নাতদন্তে খুনের প্রমাণ আগেই পাওয়া গিয়েছিল। জানা যায়, আদর্শের নাকের হাড় ভাঙা ছিল। শরীর ধস্তাধস্তির চিহ্ন পাওয়া যায়। এমনকী রুমে ক্ল্যাশের প্রমাণ পাওয়া যায়। দুই অভিযুক্ত ধ্রুব এবং কোমল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করে। দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। আদর্শের ময়নাতদন্তে আরও জানা গিয়েছিল, তাঁর শরীরে অ্যালকোহল পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যুর কারণ: শ্বাসরোধ, যা গলায় চেপে ধরার কারণে ঘটেছে।
দুজনকে জেরা করে কিছু ফ্যাক্ট পাওয়া গিয়েছে। ধ্রুব এবং কোমল দুজনে দমদমে লিভ ইন করে। তাদের দাবি রুমে পার্টি হয়। তারপর ক্ল্যাশ হয়। নিহত আদর্শের দুটো ফোন, ১৫০০ টাকা, দুটো এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। হোটেল থেকে বেরিয়ে বাইক রাইড বুক করে চলে যায়। তারপর উল্টোডাঙা একটি এটিএম থেকে ১১ হাজার টাকা তোলে। জানা গিয়েছে, আদর্শ এবং কোমলের Bumble aap-এ আলাপ। আদর্শের মোবাইল নিয়ে সিম চেঞ্জ করে। তারপর ফরগট পাসওয়ার্ড করে টাকা তোলে তাঁর মোবাইল থেকে। মোবাইল থেকে অ্যাপ ডিলিট করে দিয়েছে অভিযুক্তরা।
ধ্রুব এবং কোমল একই স্কুলে ১১ থেকে পড়ত একই স্কুলে পড়ত, লাটবাগানে। ২০ নভেম্বর কোমলের সঙ্গে আদর্শের Bumble অ্যাপে প্রথম কথা হয়। ২১ নভেম্বরের দেখা করতে আসে।