রামমন্দির প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন, ধ্বজারোহণে রামলালার ‘ধর্মীয় আবাসে’র সূচনা করবেন মোদি
প্রতিদিন | ২৫ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দু’বছর আগে খুলে গিয়েছিল রামমন্দিরের দরজা। এবার রামলালার ‘ঘর’ তৈরির কাজ সম্পন্ন হল। এই বিশেষ দিন উপলক্ষে রামমন্দির থেকে ধ্বজা ওড়াবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বিশেষ উৎসব উপলক্ষে অন্তত ৮ হাজার অতিথি অযোধ্যায় যাবেন বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা অযোধ্যাকে। ধ্বজারোহণ পর্ব শেষে বিশেষ আরতি হবে রামমন্দিরে।
গত বছর ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছিল অযোধ্যার রামমন্দিরে। তবে মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়নি। প্রায় দু’বছর পর মন্দির নির্মাণ শেষ হয়েছে। অর্থাৎ এই মন্দির এবার পুরোপুরিভাবে রামলালার ধর্মীয় আবাসে রূপান্তরিত হবে। এই বিষয়টিকে দ্বিতীয় প্রাণপ্রতিষ্ঠা বলেও অভিহিত করছেন পুরোহিতদের একাংশ। কারণ ধ্বজারোহণের পর মন্দিরে ৪৪টি দরজাই খুলে দেওয়া হবে ধর্মীয় আচারের জন্য।
জানা গিয়েছে, ধ্বজারোহণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বিবাহ পঞ্চমী তিথিকে। এই দিনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন রাম ও সীতা। এই দিনের অভিজিৎ মুহুরত পড়বে বেলা ১১টা ৫৮ মিনিট থেকে ১টা পর্যন্ত। সেসময়েই গেরুয়া রঙের পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২২ ফুট লম্বা, ১১ ফুট চওড়া এই পতাকায় রয়েছে তিনটি চিহ্ন। সূর্য, ওম চিহ্ন এবং কোবিদার গাছের চিহ্ন থাকবে। এই তিন চিহ্নকে মূলত ‘রামরাজ্যে’র প্রতীক হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। গত ২৫ দিন ধরে গুজরাটে তৈরি হয়েছে এই পতাকা। গেরুয়া কাপড়ের উপর সোনার সুতোর কারুকাজে পতাকা তৈরি হয়েছে। ৪২ ফুট উঁচু দণ্ডে এই পতাকা বাঁধা থাকবে। মন্দিরের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ থেকে উড়বে গেরুয়া ধ্বজা।
ধ্বজারোহণের সাক্ষী থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘রামমন্দিরে আরাধনা-উপাসনা করে দুপুর ১২টায় ধ্বজা উত্তোলনের সাক্ষী থাকব। এই ধ্বজা হল ভগবান রামের আদর্শের চিহ্ন, আমাদের বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির চিহ্ন।’ উল্লেখ্য, গত বছর রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময়েও পুজোয় বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।