অযোধ্যার রাম মন্দিরে ধ্বজা উত্তোলন মোদির, ছিলেন মোহন ভাগবত-যোগীও
বর্তমান | ২৫ নভেম্বর ২০২৫
অযোধ্যা, ২৫ নভেম্বর: আজ, মঙ্গলবার অযোধ্যার রামমন্দিরে গেরুয়া রংয়ের ধ্বজা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। শেষ হয়েছে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ। মূলত সেই কারণেই আজকের পুণ্য তিথিতে ধ্বজা উত্তোলন করেন তিনি। এই মুহূর্তকে ৫০০ বছরের অপেক্ষার অবসান বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সকাল প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ অযোধ্যায় আসেন মোদি। বিমান থেকে নামর পরই তাঁকে স্বাগত জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী সোজা চলে যান মন্দিরে। আগে থেকেই মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও দর্শনার্থী। ততক্ষণে অবশ্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে মন্দির চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছে। এটিএসের বিশেষ কমান্ডো, এনএসজি স্নাইপার, সাইবার বিশেষজ্ঞ, টেকনিক্যাল টিম নিয়ে মোট ৬ হাজার ৯৭০ জন নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন ছিলেন। এছাড়াও বম্ব স্কোয়াড, অ্যান্টি ড্রোন টেকনোলজি, অ্যাডভান্সড মনিটরিং সিস্টেম ছিল মন্দির চত্বরে। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে রাম মন্দিরে প্রবেশ করেন নমো। একসঙ্গে দুজনে রামলালার আরতি করেন। এরপর সকাল ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ মন্দির চূড়ায় গেরুয়া ধ্বজা উত্তোলন করা হয়। দেখা যায়, পতাকাটি ত্রিভূজাকৃতি। তাতে ওঁ এবং পবিত্র কোবীদার বৃক্ষের ছবি রয়েছে। পতাকাটির উচ্চতা প্রায় ১০ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ২০ ফুট। ধ্বজা উত্তোলনের পর মন্দির চত্বরেই দীর্ঘ বক্তৃতা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেন, আজ অযোধ্যা রামময়। এই ধ্বজা সকলের প্রেরণা হয়ে উঠবে। রাম মানে আদর্শ, রাম মানে মর্যাদা। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছিল অযোধ্যার রামমন্দিরে।