একটিমাত্র প্রশ্ন ভুল, অতিরিক্ত ১ নম্বর ২০১৭-র টেট পরীক্ষার্থীদের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৫ নভেম্বর ২০২৫
২০১৭ ও ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্ন ভুল ছিল বলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ভুল প্রশ্নের জন্য প্রত্যেকেই নম্বর পাবেন। এবার সোমবার এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় একটিমাত্র প্রশ্ন ভুল ছিল।
কিন্তু ২০২২ সালের পরীক্ষায় কোনও প্রশ্নই ভুল ছিল না। বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী এদিন হাইকোর্টের নির্দেশ ১টি ভুল প্রশ্নের জন্য ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়া হবে। এরপর যাঁরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন, তাঁরা ২০২৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
মামলাকারীদের তরফে অভিযোগ ছিল, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় ২৩টি প্রশ্ন ভুল ছিল ও ২০২২ সালের পরীক্ষায় ২৪টি প্রশ্ন ভুল ছিল। এই ভুল প্রশ্ন নিয়ে মামলা করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল যাদবপুর ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে কমিটি তৈরি করে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। কিন্তু হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারপরে আদালতের বিচারপতি সৌমেন সেনের নির্দেশ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়ে তোলা হয়।
এই কমিটিকেই অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত শুক্রবারেই এই রিপোর্ট জমা পড়ে আদালতে। তারপরেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ ছিল, প্রশ্ন ভুলের জন্য প্রত্যেকেই নম্বর পাবেন। তবে কত নম্বর, কীভাবে দেওয়া হবে তা সোমবার জানাতে হবে বিশেষজ্ঞ কমিটিকে। এরপরেই এদিন কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় ১টি প্রশ্ন ভুল ছিল।
এরপরেই আদালতের নির্দেশ ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়া হবে। পাশাপাশি, আগামী সাতদিনের মধ্যে ২০১৭-র টেটের বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগামী দু’দিনের মধ্যে ২০২২-এর বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট ওই ওয়েবসাইটেই প্রকাশ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।