তথাগত চক্রবর্তী: পড়াশোনায় বকুনি, বাড়ি ছাড়ল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। খেয়াদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুর এলাকায় ঘটনায় নেমেছে উদ্বেগের ছায়া। পড়াশোনা না করে মোবাইল ঘাঁটার জেরে বাবার বকুনি- আর তার পরেই বাড়ি ছেড়ে নিখোঁজ হয়ে যায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ঋত্বিক ভরত। বয়স মাত্র ১৫–১৬ বছর। পরিবারের অভিযোগ, গত ২০ তারিখ দুপুরে বাবা উপেন্দ্র ভরত মোবাইল ব্যবহারের জন্য ছেলেকে বকাঝকা করেন। এরপর উত্তেজনার বশে মারধরও করেন বলে জানা গেছে। সেই রাতেই ঋত্বিক চুপচাপ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
পরের দিন ভোরেও সে ফেরেনি, এরপর থেকেই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। পরিবার ও স্থানীয়রা চারদিকে খুঁজেও তার কোনও হদিস পাননি। অসহায় পরিবার খবর দেয় নরেন্দ্রপুর থানায়। ইতিমধ্যেই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। আশেপাশের এলাকা, ঘাট, রেলস্টেশন—সব জায়গায় খোঁজ চলেছে। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় ট্র্যাক করা যাচ্ছে না। পরিবার আশঙ্কায় ভুগছে—কোথায় গেল ঋত্বিক? কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কি? নাকি আবেগের বশে কোথাও দূরে চলে গিয়েছে? স্থানীয়দের মতে, পড়াশোনার চাপ ও মানসিক চাপের কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে পুলিস নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। পরিবার এখন শুধু ছেলের নিরাপদ ফিরেই অপেক্ষা করছে।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক খবর সামনে আসে। ঠাকুরপুকুর পোড়া অশ্বত্থতলার শিবাজী কলোনীতে মাধ্যমিক ছাত্রী আত্মঘাতী। একালার প্রতিবেশীরা যেমনটা জানান রবিবার সকালে ওই ছাত্রীর মা বাজারে যাচ্ছিলেন। তখন সে তার মায়ের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চায়। মা কোনওমতে ফোন দেননি। এবং মেয়েকে বলেন, পড়তে বস একটু পর মাস্টার পড়াতে আসবেন, এই বলে মা বাজারে চলে যান।
তারপর মা বাজারে থেকে বাড়ি ফিরে দেখে মেয়ে ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের মধ্যে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। এর পর ওই ছাত্রীর মা প্রতিবেশীদের চিৎকার করে জানান। এরপর ঠাকুরপুকুর থানার পুলিসকে খবর দেওয়া হলে পুলিস ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। ছাত্রীর নাম অঙ্কনা বিশ্বাস, দ্বাদশ বিদ্যামন্দিরের মাধ্যমিকের ছাত্রী। মা অঞ্জলি বিশ্বাস, এবং বাবা করোনার সময় মারা যান। মা আর মেয়ে একসঙ্গে থাকত। এলাকা সূত্রে জানা যায়, অঙ্কনা স্বভাবে ভদ্র ও মিশুকে প্রকৃতির ছিল। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।