হেমন্ত মৈথিল, অযোধ্যা: রামমন্দির নির্মাণের কাজ শেষ। তাই বিবাহ পঞ্চমীর পুণ্য তিথিতে ধ্বজারোহণের মাধ্যমে রামলালার ধর্মীয় আবাস উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বিশেষ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অযোধ্যায় মোতায়েন হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। অন্তত ৬৯৭০ জন নিরাপত্তা আধিকারিক মোতায়েন করা হয়েছে। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে এটিএস, এনএসজি এবং সাইবার বিভাগের জন্য।
জানা গিয়েছে, ধ্বজারোহণ উপলক্ষে অন্তত ৮ হাজার অতিথি আসবেন অযোধ্যায়। তার জন্যই বিরাট নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে। এটিএসের বিশেষ কমান্ডো, এনএসজি স্নাইপার, সাইবার বিশেষজ্ঞ, টেকনিক্যাল টিম-সব মিলিয়েই ৬৯৭০ জন থাকছেন। অ্যান্টি ড্রোন টেনোলজি, অ্যাডভানসেড মনিটরিং সিস্টেম থাকবে মন্দির চত্বরে। থাকছে স্পেশাল ইউনিট, বম্ব স্কোয়াড ইত্যাদিও।
মঙ্গলবার সকালে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে রামমন্দিরে উপস্থিত হন মোদি। একসঙ্গে রামলালার আরতি করেন দু’জনে। তারপর বেলা ১১টা ৫০ নাগাদ শুরু হয় ধ্বজারোহণ পর্ব। নিচ থেকে ধীরে ধীরে মন্দিরে সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত উঠে যায় ন্যায়ের ধ্বজা। গোটা প্রক্রিয়ার সময়ে আবেগঘন চোখে ধ্বজার দিকে তাকিয়ে ছিলেন মোদি। ধ্বজারোহণ পর্ব শেষ হতেই করজোড়ে নমস্কার করেন। তারপর ফুল উৎসর্গ করেন মোদি-ভাগবত দু’জনেই।
উল্লেখ্য, গত বছর ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছিল অযোধ্যার রামমন্দিরে। তবে মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়নি। প্রায় দু’বছর পর মন্দির নির্মাণ শেষ হয়েছে। অর্থাৎ এই মন্দির এবার পুরোপুরিভাবে রামলালার ধর্মীয় আবাসে রূপান্তরিত হবে। এই বিষয়টিকে দ্বিতীয় প্রাণপ্রতিষ্ঠা বলেও অভিহিত করছেন পুরোহিতদের একাংশ। কারণ ধ্বজারোহণের পর মন্দিরে ৪৪টি দরজাই খুলে দেওয়া হবে ধর্মীয় আচারের জন্য।