• পরিবারের অমতে বিয়ে! রাগে তরুণীকে ‘খুন’ দাদা-কাকার, দেহ ফেলা হল চলন্ত ট্রেনের নিচে
    প্রতিদিন | ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবারের অমতে নিজের পছন্দ মতো পাত্র ঠিক করেছিলেন ওই তরুণী। বিয়েও করেছিলেন তাঁকে। আর সেটাই গুরুতর ‘অপরাধ’! রাগে তরুণীর গলা কেটে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর দাদা এবং কাকার বিরুদ্ধে। এমনকী হত্যার পর পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে তরুণীর দেহ চলন্ত ট্রেনের নিচেও ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম প্রীতি (১৭)। সে তোলা ফতেহ রায় গ্রামের বাসিন্দা ছিল। গত সেপ্টেম্বর মাসে অভিষেক যাদব নামে এক যুবককে সে বিয়ে করে। অভিষেকের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অবশেষে তাদের চার হাত এক হয়। এরপর থেকে প্রীতি নিজের শ্বশুরবাড়িতেই থাকত। কিন্তু এই বিয়েতে মত ছিল না প্রীতির পরিবারের। প্রথম থেকেই তারা ক্ষুদ্ধ ছিল। এই পরিস্থিতিতে গত ১৬ নভেম্বর রাতে প্রীতিকে ফোন করে তার বাপের বাড়িতে ডাকা হয়। অভিযোগ, তার কাকা অশোক যাদব এবং দাদা আর্য কুমার যাদব ওরফে পিন্টু রাতের অন্ধকারে প্রীতিকে নিকটবর্তী একটি স্কুলে নিয়ে যান। এরপর গলা টিপে তরুণীকে তাঁরা হত্যা করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁর গলা কটেও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সবশেষে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে প্রীতির রক্তাক্ত দেহ একটি চলন্ত ট্রেনের নিচে ফেলে দেওয়া হয়।

    পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর বাল্লিয়া এলাকা থেকে প্রীতির ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তরুণীর দাদা আর্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃিত ধারালো অস্ত্রটিও। আরও এক অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)