দড়ি বা সুইচ নয়, রামমন্দিরে অভিনব প্রযুক্তিতে ‘ধর্মধ্বজ’ উত্তোলন প্রধানমন্ত্রীর
প্রতিদিন | ২৫ নভেম্বর ২০২৫
হেমন্ত মৈথিল, অযোধ্যা: উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় শ্রীরাম জন্মভূমি মন্দিরের চূড়ায় মঙ্গলবার ‘ধর্মধ্বজ’ উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে রইল গোটা ভারতবর্ষ। তবে প্রথাগত পদ্ধতিতে এই পতাকা না তুলে, অভিনব প্রযুক্তির ব্যবহারে উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
সাধারণত পতাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে দড়ি টেনে পতাকা ওড়ানো হয়। কিন্তু মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে ছিল এক অভিনব ব্যবস্থা। পুরোহিতরা বৈদিক আচার-অনুষ্ঠান পালনের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং মোহন ভাগবত মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান। সেখানে ভাঁজ করা পতাকার পাশে ‘নমস্কার’ মুদ্রায় একটি প্রতীকী হাত স্থাপন করা ছিল। এই প্রতীকী হাতটি পতাকার দিকে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে দুই নেতা বিশেষ মেকানিজমটি অ্যাক্টিভেট করেন, যার ফলে পতাকাটি মন্দিরের চূড়ায় স্থাপিত হয়।
পতাকা উত্তোলনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ধর্মধ্বজ শুধু একটি পতাকা নয়। এটি ভারতীয় সভ্যতার পুনরুজ্জীবনের প্রতীক। গেরুয়া রং সূর্যবংশের প্রতীক, ‘ওম’ শব্দ এবং কোভিডারা বৃক্ষ রামরাজত্বের মহিমাকে মূর্ত করে তুলেছে।” তিনি বলেন, এই পতাকা আগামী হাজার বছর ধরে ভগবান রামের মূল্যবোধকে ভারতীয়দের কাছে জানান দিয়ে যাবে।
২২ ফুট বাই ১১ ফুট আকারের এই গেরুয়া পতাকাটি প্যারাশুট-গ্রেডের কাপড় দিয়ে তৈরি। এটি বর্তমানে মন্দিরের ১৬১ ফুট উঁচু চূড়ায় স্থাপন করা হয়েছে। পতাকায় সূর্য (রামের সূর্য বংশের প্রতীক), পবিত্র ‘ওম’ এবং রামরাজ্যের প্রতীক কোভিডারা বৃক্ষের মতো চিহ্নগুলি রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বরের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ২০২০ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদির ভূমি পূজনের মাধ্যমে রামমন্দির নির্মাণ শুরু হয়েছিল।