• ‘মুখ্যমন্ত্রী বদলের জল্পনায় ইতি টানুন’, রাহুল-খাড়গের উপর চাপ বাড়ালেন সিদ্দা
    প্রতিদিন | ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে মোটে ৩টি রাজ্য। তার মধ্যেও কর্নাটকে চরমে দলের অন্তর্কলহ। সেই কলহের আঁচ দিল্লিতে আগেই পৌঁছেছিল। ডিকে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতে দিল্লিতে গিয়ে হত্তে দিয়ে পড়েছেন তাঁর অনুগামীরা। এবার পালটা সিদ্দারামাইয়া একপ্রকার হুঙ্কার ছাড়লেন। বলা ভালো, চাপ বাড়ালেন দলের হাইকম্যান্ডের উপর। রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেদের উদ্দেশে তাঁর সাফ বার্তা, মুখ্যমন্ত্রী বদলের জল্পনায় ইতি টানার কাজটা হাইকম্যান্ডকেই করতে হবে।

    মঙ্গলবারই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেন, “রাজ্যে নেতৃত্ব বদল নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে হাইকম্যান্ড। তাদেরই জল্পনার অবসান ঘটাতে হবে!” সিদ্দার কথায়, নিয়ে অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে যা বলার শীর্ষ নেতৃত্ব বলবে। রাজ্যের মন্ত্রিসভাতেও দুটি পদ খালি পড়ে রয়েছে, সেটা পূরণের ভারও তিনি হাইকম্যান্ডের উপর ছেড়েছেন। সেই পদদু’টিও দ্রুত পূরণ করা দরকার। সব মিলিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের উপর ভালোরকম চাপ সৃষ্টি করলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী।

    কর্নাটকে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের দুই শিবিরে ঝগড়া কার্যত রাস্তায় নেমে এসেছে। উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসাতে মরিয়া তাঁর অনুগামী বিধায়করা। গত সপ্তাহে থেকেই এক দল বিধায়ক দিল্লিতে রয়েছেন। রবিবার রাতে আরও কয়েকজন গিয়েছেন। শিবকুমার-ঘনিষ্ঠ সাত-আট জন বিধায়ক রবিবার মধ্যরাতে দিল্লি পৌঁছেছেন। ডিকে-কে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জানিয়ে তাঁরা কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। গত সপ্তাহে একই দাবি জানিয়ে দু’দফায় দিল্লি গিয়েছিলেন শিবকুমার-ঘনিষ্ঠ বিধায়কেরা। এই বিধায়কদের দাবি, ২০২৩ সালে সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করার সময় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, আড়াই বছর পর মুখ্যমন্ত্রী করা হবে শিবকুমারকে। অর্থাৎ, পাঁচ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে দুই নেতার মধ্যে। সেই ‘প্রতিশ্রুতির সম্মান’ রাখার দাবি তুলেছেন শিবকুমার-ঘনিষ্ঠরা।

    ঘটনাচক্রে, অক্টোবরেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আড়াই বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন সিদ্দারামাইয়া। যদিও এত কিছুর পরেও সব কিছু স্বাভাবিক আছে বলেই দাবি করছেন শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়া। কর্নাটক সরকারের নেতৃত্বে বদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন দু’জনেই, অন্তত প্রকাশ্যে। সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, তিনি পাঁচ বছরের মেয়াদ পুরো করবেন। আর শিবকুমার জানিয়েছেন, বিধায়কদের একাংশ যে দিল্লি গিয়ে খাড়গের সঙ্গে দেখা করেছেন, তা তিনি জানতেনই না! এই আবহে কর্নাটকেই রয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। রবিবার দিল্লি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি বেঙ্গালুরুতে রয়ে গিয়েছেন। কংগ্রেসের একটি সূত্রের দাবি, কর্নাটকের বিভিন্ন মন্ত্রী এবং নেতার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলছেন তিনি। কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী বদল হবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে খাড়গে বলেন, “যা-ই ঘটুক না কেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নেবেন। আপনাদের এই বিষয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)