• ‘২০২৯ বড় ভয়ংকর, ক্ষমতা হারাবে বিজেপি’, হুঙ্কার তৃণমূলনেত্রীর
    প্রতিদিন | ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • এসআইআরের প্রতিবাদে মতুয়াগড় ঠাকুরনগরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনগাঁ শহরে  ত্রিকোণ পার্কে জনসভা করে ঠাকুরনগরে পদযাত্রা রয়েছে তাঁর। মমতার বার্তায় নজরে সকলের। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের যাবতীয় খুঁটিনাটি  তথ্যের জন্য নজর রাখুন LIVE UPDATE-এ। 

    দুপুর ৩.৩৮: চাঁদপাড়ার রাস্তায় জনসংযোগে ব্যস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    দুপুর ৩.৩৪: রাজপথে মমতাকে জড়িয়ে ধরলেন এক মহিলা। 

    দুপুর ৩.২৯: চাঁদপাড়া থেকে পদযাত্রা শুরু মমতার। পাশেই রয়েছে মমতাবালা ঠাকুর এবং কনিষ্ঠতম বিধায়ক মধুপর্ণা। সঙ্গে রয়েছেন সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

    দুপুর ২.৫৬: মমতার আশ্বাস, “কেউ আত্মহননের পথ বেছে নেবেন না। মানুষের জীবন খুব সুন্দর। নিশ্চিন্তে থাকুন। ভালো থাকুন।”
    দুপুর ২.৫২: মমতার হুঁশিয়ারি, “আমি বাংলাদেশিদের মতো কথা বলছি। ক্ষমতা থাকলে গ্রেপ্তার করুক।”
    দুপুর ২.৫০: মমতা বলেন, “আমার বাংলা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। আর আঘাত করলে, প্রত্যাঘাত সহ্য করতে হবে।”
    দুপুর ২.৪৯: মমতা বলেন, “আমরা ধর্ম, ধর্ম করি না। আমাকে যে খাবার করে দেয় সে-ও একজন তফসিলি মেয়ে। আমাকে খেতে দেয়। একসঙ্গে ঘুমোয়। রান্নাটাও সে-ই করে। তাকে কাছে রেখেছি। মানুষ করেছি। চাকরি দিয়েছি। বিয়ে দিয়েছি।”
    দুপুর ২.৪৬: শান্তনুকে বিঁধলেন মমতা, “বড়মা যখন অসুস্থ হতেই কোথায় ছিলেন। একবার নয়। ৬ বার নার্সিংহোমে ভর্তি করিয়েছি। বালু আমাকে খবর দিতেন। বালু মানে জ্যোতিপ্রিয়। ঠাকুরবাড়ির উন্নয়ন আমরাই করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় করেছি।” 
    দুপুর ২.৪৫: “যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ, ততক্ষণ রাখুন বিশ্বাস”, অভয়বাণী মমতার।
    দুপুর ২.৪৪: নাম না করে শুভেন্দুকে ‘ছোট স্যর’ কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়, শাড়ির চেয়ে গামছা, মন্ত্রীর চেয়ে আমলা বড়।” 
    দুপুর ২.৪৩: মমতার হুঁশিয়ারি, “জানেন তো, জীবিত বাঘের চেয়ে আহত বাঘ বেশি ভয়ংকর। তাই আঘাত করবেন না। আঘাত করলে প্রত্যাঘাত সহ্য করতে হবে।”
    দুপুর ২.৪১: বনগাঁবাসীর উদ্দেশে মমতার বার্তা, “আপনাদের আশ্বস্ত করতে এসেছি। ভোট চাইতে আসিনি।”
    দুপুর ২.৪০: বিজেপি এসআইআর বাণ মমতার, “রোহিঙ্গা ঢুকলে কোথা দিয়ে ঢুকছে? মিজোরাম, মণিপুর, অসমে তো এসআইআর হচ্ছে না। বাংলায় হচ্ছে। কারণ, বাংলাকে জব্দ করতে হবে। বাংলাকে ব্রিটিশরা জব্দ করতে পারেনি, তাই রাজধানী ছিল।”
    দুপুর ২.৩৬: “আমি কিন্তু ফর্ম ফিলআপ করিনি। আপনারা করবেন”, এসআইআর ইস্যুতে মন্তব্য মমতার।
    দুপুর ২.৩৪: মমতার হুঙ্কার, “আমাকে আঘাত করলে, সারা ভারতবর্ষ নাড়িয়ে দেব।” 
    দুপুর ২.৩৩: মমতার ভবিষ্যদ্বাণী, “বাংলা দখল করতে গিয়ে গুজরাট হারাবে, দেশ হারাবে। ২০২৯ বড় ভয়ংকর। ক্ষমতা হারাবে বিজেপি। দিল্লির জায়গা দখল করবে তৃণমূল।”
    দুপুর ২.৩২: রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারি নিয়ে মমতা বলেন, “তৃণমূলের কেউ কিছু না করলেও তাঁকে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপির চুরি করলেও কিছুই হয় না।”
    দুপুর ২.৩০: “AI হাতিয়ার করে কারচুপি করবে কমিশন”, আশঙ্কা তৃণমূল নেত্রীর।
    দুপুর ২.২৬: এসআইআর নিয়ে মমতার দাবি, “এসআইআর আতঙ্কে ৩৫-৩৬ জনের মৃত্যু। ১০ জন বিএলও হাসপাতালে ভর্তি। কৃষ্ণনগরে রিঙ্কু মৃত্যুর আগে চিঠি লিখে গিয়েছে। লিখেছে আমার মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী। তাহলে কার কথায় চলছে? ইন্টারনেট নেই। হোয়াটসঅ্যাপ নেই। রামের জায়গায় শ্যাম চলে যাচ্ছে। ড্রাফ্ট লিস্ট বেরলে বুঝতে পারবেন কী হয়।”  
    দুপুর ২.২০: মতুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে মমতার তোপ, “আপনাদের প্রতারণা করছে, এর বড় শাস্তি হওয়া উচিত। কমিশনের নথির তালিকায় লিখতে বলুন। ওই সার্টিফিকেটে লিখে দিচ্ছে আপনি কিন্তু বাংলাদেশে ছিলেন। ম্যাপিং করছে ২০০২ সালে। সংঘের সার্টিফিকেট দিচ্ছে ২০২৫ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে। মানে প্রমাণ করে দিচ্ছে আপনি বাংলাদেশে ছিলেন।  রামকৃষ্ণ মিশনও সার্টিফিকেট দেয়, তাতে লেখা থাকে না আপনি কোন দেশের নাগরিক।”
    দুপুর ২.১৮: মমতা বলেন, “বাংলা ভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি? দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে ভালোবাসি। কারণ আমাদের ভাষা এক। যাঁরা বাংলাদেশি তাঁরা বাংলায় কথা বলে অভ্যস্ত, হঠাৎ কী করে বদলাবে? বীরভূমে জন্মেছি নইলে আমাকেও বাংলাদেশি বলে দিত। বৈধ ভোটারের কোনও ভয় নেই। ভয় পাবেন না। বিজেপি ভয় দেখিয়ে প্রচার করছে। আমি থাকতে কারও গায়ে হাত দিতে দেব না।”
    দুপুর ২.১৬: মমতার অভিযোগ, “ধর্ম নিয়ে খেলছে বিজেপি।”
    দুপুর ২.১৪: কমিশনকে নিশানা মমতার। তাঁর তোপ, “বিজেপির কথায় চলছে নির্বাচন কমিশন।” 
    দুপুর ২.০৭: মমতা বলেন, “এসআইআর করতে হবে না আমরা বলিনি। আমরা বলেছি কোনও বৈধ ভোটারের নাম যেন বাদ না যায়। এসআইআর করতে ৩ বছর সময় লাগে। আপনারা ২ মাসে করতে চাইছেন। ভোটের আগে গায়ের জোর দেখিয়ে এসআইআর। আমাকেও সময় দিয়ে আধার কার্ড করতে হয়েছে। এখন বলছে লাগবে না। ব্যাঙ্ক, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নো আধার। আর এসআইআর হলে ইয়েস আধার।”
    দুপুর ২.০৭: কপ্টারের ইন্সিওরেন্স জটিলতা নিয়ে বিজেপিকে তোপ মমতার। বলেন, “আমার আসতে দেরি হয়েছে। ক্ষমা চাইছি। আমি ৭-৮ মাস কপ্টার ব্যবহার করিনা। গাড়িতে গাড়িতে ঘুরি। আমাদের সরকারের একটা হেলিকপ্টার নেওয়া আছে। হঠাৎ খবর এল হেলিকপ্টারটা যাবে না। আমি দেখলাম দারুণ মজার খবর। ভোটই শুরু হল না, তার মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেল। একদিকে ভালোই হয়েছে রাস্তায় আসতে আসতে আমার জনসংযোগ হয়ে গেল। আমি বিজেপিকে বারবার বলি আমার সঙ্গে খেলতে যাস না। আমার সঙ্গে খেলতে গেলে আমি যে খেলাটা খেলব, ধরতেও পারবে না। ছুঁতেও পারবে না।” 
    দুপুর ২.০৫: বনগাঁর ত্রিকোণ পার্কের সভাস্থলে পৌঁছলেন মমতা।
    বেলা ১.৫৪: কলকাতা থেকে সড়কপথে নদিয়ার জাগুলি মোড়, বিরোহী হয়ে চাকদহ-বনগাঁ রাজ্যসড়ক দিয়ে বনগাঁর পথে মমতা। চাকদহ-বনগাঁ রাজ্যসড়কের সিলিন্দি এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীকে হাত নাড়িয়ে অভ্যর্থনা জানালেন কর্মী-সমর্থকরা। 

    বেলা ১.৪৬: মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে মতুয়াদের ধিক্কার সভা। 
    বেলা ১.৩৮: মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে ক্রমশ বাড়ছে ভিড়। অগণিত কর্মী-সমর্থক 
    বেলা ১২.৫৮: মমতার সভার সময় পরিবর্তন। দুপুর তিনটেয় হবে জনসভা।
    বেলা ১১.৩০: হেলিকপ্টারের বদলে সড়কপথে বনগাঁ যাচ্ছেন মমতা।
    সকাল ৯: মমতার সফরের আগে ঠাকুরনগরে ‘বিতর্কিত’ পোস্টার। শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে থানায় মমতাবালা ঠাকুর। ওই পোস্টারের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি শান্তনুর। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই দাবি তাঁর। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)