• মাথার পিছনে গুলির দাগ, মালদহে তৃণমূল কর্মী ‘খুনে’র নেপথ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন?
    প্রতিদিন | ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • বাবুল হক, মালদহ: রাতভর নিখোঁজ থাকার পর তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। মঙ্গলবার সকালে আমবাগান থেকে তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মাথার পিছনে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁকে। মালদহের কালিয়াচকের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। ব্যবসায়িক লেনদেন নাকি খুনের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    নিহত তৃণমূল কর্মী ওবায়দুল্লা খান। পেশায় তিনি একজন কয়লা ব্যবসায়ী। তিনি মালদহের কালিয়াচক থানার কলেজ মোড় বাথান এলাকার বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের দাবি, সোমবার বিকেল চারটা নাগাদ বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে কালিয়াচক থানায় রাতেই নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ইংরেজবাজার থানার কাটাগর এলাকায় একটি আমবাগান থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। উদ্ধার করা হয়েছে বাইকটিও। পরিবারের দাবি গুলি করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে ওবায়দুল্লাকে। তবে কেন এই খুন, কে বা কারা করেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    নিহতের পরিচিতরা বলেন, “সোমবার চারটে নাগাদ বাড়ি ফেরেন। পাঁচটায় বেরন। কোথায় গেল বলতে পারছি না। ৬টা নাগাদ ফোন করে দেখি সুইচড অফ। ওকে খুন করা হয়েছে। কে করেছে, না করেছে বলতে পারছি না।” আরও এক পরিচিত বলেন, “বিকেল ৪টে নাগাদ নিখোঁজ হয়ে যান। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। খোঁজাখুঁজিও করি। পাওয়া যায়নি। সকালে আবার থানায় যাই। কিছুক্ষণ পর জানায় দেহ পাওয়া গিয়েছে।” ওই তৃণমূল নেতার আরেক পরিচিতের দাবি,”দেহ দেখে বুঝতে পারছি পিছন থেকে কেউ গুলি চালিয়েছে। কেন গুলি করা হল, তা জানি না। আমার মনে হয় খুন করা হয়েছে।” কী কারণে খুন হলেন ওই তৃণমূল কর্মী, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। গ্রামে কারও সঙ্গে কোনও অশান্তি ছিল না তাঁর। স্বজ্জন ব্যক্তি হিসাবেই পরিচিত। তাঁর মৃত্যুতে হতবাক প্রায় সকলে। ব্যবসায়িক লেনদেন নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)