মহাকাল মন্দির, ৭ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে সবুজ সংকেত, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত
প্রতিদিন | ২৫ নভেম্বর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামতো শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় মহাকাল মন্দির (Mahakal Temple) বাস্তবায়নের পথে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্দির তৈরির জন্য চিহ্নিত জমির প্রশাসনিক ও আইনি হস্তান্তরের প্রস্তাবে সবুজ সংকেত মিলল। সোমবার বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, মাটিগাড়ার উজানুর মৌজায় (জেএল৮৬) ২৫.১৫ একর এবং গৌড়চরণ মৌজায় (জেএল৮১) ৩.৯৫ একর জমি মন্দিরের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরও একটি জমির অংশ। ‘লক্ষ্মী টাউনশিপ অ্যান্ড হোল্ডিংস লিমিটেড’কে লিজ দেওয়া শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভলপমেন্ট অথরিটির (এসজেডিএ) ১৭.৪১ একর জমি ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই সবগুলো জমিকে একত্রিত করেই তার উপর গড়ে উঠবে মহাকাল মন্দির এবং কালচারাল সেন্টার। সেই প্রস্তাবই গৃহীত হয়েছে বলে জানান চন্দ্রিমা।
একইসঙ্গে এসজেডিএ-র হাতে আসা জমিটি দপ্তরের মধ্যে ‘ট্রান্সফার’ হবে। চন্দ্রিমা জানিয়েছেন, প্রথমে এটি যাবে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের হাতে। তারপর যাবে পর্যটন দপ্তরের কাছে। একই সঙ্গে এদিনে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ডাবগ্রাম মৌজায় ১০ একর জমিতে গড়ে উঠবে একটি অত্যাধুনিক কনভেনশন সেন্টার। তা তৈরি করতে সরকার বিনামূল্যে জমি দেবে। এশিয়ান হাইওয়ে ‘২’-এর সংযোগ ধরে উত্তরবঙ্গের এই অঞ্চলকে পর্যটন ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় সম্ভাবনার জায়গা হিসাবে তুলে ধরতে চাইছে রাজ্য। এর পাশাপাশি কর্মসংস্থান বাড়াতে ডব্লুবিআইডিটিসি-র অধীনে রাজ্যজুড়ে শিল্প পরিকাঠামো সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন করে তৈরি হবে সাতটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক।
চন্দ্রিমা বলেন, “কোচবিহারে এবং ফলতায় দুটি করে, এবং কল্যাণী, বিষ্ণুপুর, এবং উলুবেড়িয়াতে এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কগুলো তৈরি হবে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের তরফে এই জমিগুলো দেওয়া হবে।” প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরবঙ্গ সফরে সরেজমিনে পরিদর্শন এবং ত্রাণ বিলির কর্মসূচির পরে কলকাতায় ফেরার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দার্জিলিঙের ম্যালের মহাকাল মন্দিরের মতো সমতলে নতুন একটি মহাকাল মন্দির গড়তে চান তিনি। শিলিগুড়ির আশপাশে তার জন্য জমিও দেখতে বলে দিয়েছিলেন। মমতা জানান, ওই মন্দিরে থাকবে সবচেয়ে বড় শিবমূর্তি। সেই মন্দিরই এবার ধীরে ধীরে গড়ে উঠবে।