প্রায় ৩০ ঘণ্টা পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেন বুথ লেভেল অফিসারেরা (BLO)। রাজ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর সিদ্ধান্ত অপরিকল্পিত এবং এর জেরে বিএলও-দের উপরে মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ পড়ছে। এই নিয়েই শুরু হয় প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদ পৌঁছয় সিইও দপ্তর পর্যন্ত। সোমবার কলেজ স্কোয়্যার থেকে বিএলওদের একাংশ মিছিল করে যান বিবাদী বাগের সিইও অফিস পর্যন্ত। সেখানে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙতে গেলে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। শেষমেশ আন্দোলনকারীদের তরফে ১৩ জনের প্রতিনিধিদল দেখা করতে যায় সিইও মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে। যদিও শেষমেশ সেই সাক্ষাৎ হয়নি। এরপর তাঁরা সিইও অফিসে লিফটের সামনে ধর্নায় বসে পড়েন। মনোজ আগরওয়ালের সঙ্গে দেখা করার দাবিতে অনড় ছিলেন ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’ সদস্যরা।
সোমবার রাত পেরিয়ে মঙ্গলবার বেলা গড়ালেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। অবস্থানরত ওই বিএলও-দের দাবি ছিল, যতক্ষণ না পর্যন্ত সিইও নিজে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন, তাঁরা এই ঘেরাও কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। অবশেষে এ দিন সন্ধ্যায় মনোজ আগরওয়াল তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন। নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে তাঁর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন বিএলও-রা।
এসআইআর-এর জন্য বরাদ্দ সময় বাড়ানো, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের দাবি করা হয়েছে বলে জানান ওই বিএলওরা। তাঁরা আরও বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল জানিয়েছেন, কোনও বিএলও-কে শো-কজ় করা হবে না।’
উল্লেখ্য, ‘বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি’-র এই বিক্ষোভের নেপথ্যে তৃণমূলের ইন্ধন রয়েছে, এক্স হ্যান্ডলের একটি পোস্টে প্রকারান্তে এই দাবি করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিক্ষোভকারী বিএলও-র পরিসংখ্যান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও শুভেন্দুর এই দাবিকে খারিজ করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের নেতারা। তাঁদের দাবি, অপরিকল্পিত ভাবে এসআইআর করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ভয় পাচ্ছেন। অনেকে চরম পদক্ষেপ করছেন। কিন্তু তার পরেও উদাসীন কমিশন, পাল্টা অভিযোগ তাঁদের।