আজকাল ওয়েবডেস্ক: এসআইআর চলছে রাজ্যে। গত কয়েকদিনে এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। ফের একই অভিযোগ। এবার পূর্বই মেদিনীপুর। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসআইআর আতঙ্কেই তীব্র মানসিক চাপ, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মহিলার।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থানার অন্তর্গত দেশপ্রাণ ব্লকের পূর্ব আমতৌলিয়া গ্রামের সুষমা রানী মণ্ডল। স্থানীয় সূত্রে খবর, এসআইআর ফর্মে কিউআর কোড গরমিলের কারণে গত কয়েকদিন ধরে মানসিক চাপে ছিলেন দু'বারের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুষমা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র মানসিক চাপের কারণে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রাতে রাতে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
ইতিমধ্যে একদিকে যেমন এসআইআর এর কাজের চাপে বিএলও'দের অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তেমনই মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। অন্যদিকে রাজ্যের নানা প্রান্তে এসআইআর আতঙ্কে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর অভিযোগ উঠে এসেছে। ১৯ নভেম্বর সামনে আসে বাদুড়িয়ার ঘটনা। পরিবার সূত্রে খবর, এসআইআর আতঙ্কে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বাদুড়িয়ার ওই প্রৌঢ়। মৃতের নাম সফিকুল মণ্ডল (৫৮)। উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার যদুরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পরিবারের অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় সফিকুল মণ্ডলের নিজের নাম থাকলেও পরিবারের অন্যদের না থাকায় প্রায় ১৫ দিন ধরে উদ্বিগ্ন ছিলেন। শেষ তিনদিন তিনি খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার জেরেই মঙ্গলবার দুপুরে কীটনাশক খান বলেই অভিযোগ। মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
সফিকুলের বড় ছেলে রুহুল আমিন মণ্ডল জানান, 'এসআইআর শুরুর পর থেকেই বাবা আতঙ্কের মধ্যেই ছিলেন । ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় বাবার নাম ছিল কিন্তু আমাদের তিন ভাইয়ের এবং বোনের নাম না থাকায় বেশ ১৫ দিন ধরে আতঙ্কে কাটাচ্ছিলেন, শেষ তিন দিন খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিলেন, শেষে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করলেন এস আই আর আতঙ্ক নিয়ে।'