এসআইআরের প্রতিবাদে চাঁদপাড়া থেকে ঠাকুরনগরে পদযাত্রা মমতার
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
মঙ্গলবার দুপুরে বনগাঁর ঠাকুরনগরে পৌঁছোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেলিকপ্টারের লাইসেন্স না থাকায় গাড়ি করে গাইঘাটার চাঁদপাড়া পৌঁছন মমতা। সেই কারণে নির্ধারিত সময় থেকে কিছুটা দেরিতে পৌঁছোন তৃণমূল নেত্রী।এদিন বনগাঁ ও ঠাকুরনগর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। এক হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয় সিসি ক্যামেরা। আগেই বনগাঁ, গাইঘাটা এলাকায় পুলিশের একাধিক কর্তা হাজির হন। যে রাস্তা দিয়ে মমতার পদযাত্রা হওয়ার কথা সেখানে তৃণমূলের পতাকা দিয়ে মড়ে ফেলা হয়েছিল।
বনগাঁ শহরের ত্রিকোণ পার্কে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর চাঁদপাড়ার ঝাউডাঙা মোড়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়ন্ত বিকেলে গোটা রাস্তা জুড়ে মানুষের ঢল নামে। রাস্তার দু’ধারে ভিড় করা স্থানীয় বাসিন্দাদের দিকে হাত নাড়তে নাড়তে এগিয়ে যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বনগাঁ থেকে ফেরার পথে যশোর রোডে বিক্ষোভের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত এক যুবকের চোখ মর্গে থাকা অবস্থাতেই খুবলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগেই দুপুর থেকে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ।
বিকেলের পর যশোর রোডে অবরোধও শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। ঠিক সেই সময়েই বনগাঁ থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিক্ষোভের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। এই সময় সরাসরি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। ধৈর্য ধরে শোনেন মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ক্ষোভ আর অভিজ্ঞতার বর্ণনা।সূত্রের খবর, তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মৃতের মাকে সরকারি চাকরির আশ্বাসও দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, মৃত যুবকের নাম প্রীতম ঘোষ। বয়স ৩৪। বারাসতের ১ নম্বর রেলগেটের কাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। একটি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন তিনি। বারাসত মেডিক্যালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালের মর্গ থেকে ওই যুবকের একটি চোখ খুবলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে। হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ।
এরই মধ্যে ওই পথ দিয়ে ফেরার পথে অবরোধের মধ্যে পড়ে প্রায় ১৫ মিনিট আটকে থাকে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। সে সময় বিক্ষোভকারীদের কথা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন মৃতর পরিজনদের সঙ্গেও। সমবেদনা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। যথাযথ তদন্ত হবে। তদন্তে কারও গাফিলতি প্রমাণ হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।‘