মনোজ মণ্ডল: সরকারি হাসপাতাল থেকে মৃতের চোখ চুরি! বনগাঁ থেকে কলকাতায় ফেরার পথে এবার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যশোর রোডে কনভয় আটকে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলেই মাইকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, 'সঠিক তদন্ত হবে। যদি অপরাধ সত্যি প্রমাণিত হয়, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃতের পরিবারকে একজনকে চাকরি দেওয়া হবে'।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃতের নাম প্রীতম ঘোষ। বারাসত এক নম্বর রেলগেট এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। গতকাল, সোমবার সকালে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন প্রীতম। বারাসাত মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিত্সকরা। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ রাখা ছিল হাসপাতালে মর্গেই। পরিবারের দাবি, দুর্ঘটনার পর যখন হাসপাতালে আনা হয়, প্রীতমের দুটি চোখই অক্ষত ছিল। এরপর আজ, মঙ্গলবার দেহ নিতে গিয়ে তাঁরা দেখেন এক চোখ নেই। হাসপাতালে মর্গ থেকে নাকি চোখ চুরি হয়ে গিয়েছে!
হাসপাতালের তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়, চোখটি ইঁদুরে খেয়ে নিয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্রে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। ঠিক তখনই বনগাঁর সভা সেরে সড়ক পথে কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বারাসাত বনমালিপুর হাসপাতাল গেটের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় ১৫ মিনিট দাঁড়িয়েছিল কনভয়।
সূত্রে খবর, বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে ফ্রিজার খারাপ ছিল। তাই আলাদা করে বরফ দিয়ে বাইরেই দেহটি সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। এরপর দুপুর আড়াইটে নাগাদ দেখা যায়, মৃতের বাঁ চোখটি ইঁদুরে খেয়ে নিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব।