‘গুপ্তচর’ রাশিয়ান বধূকে পালাতে সাহায্য! রুশ দূতাবাস কর্মীদের রক্ষাকবচ তোলার দাবি বিদেশমন্ত্রকের
প্রতিদিন | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাশিয়ান দূতাবাস যেভাবেই আড়াল করতে চাক, তাদের কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে এমন কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, যার জেরে প্রমাণ হয়েছে যে চন্দননগরের রাশিয়ান পুত্রবধু ভিক্টোরিয়া জিগালিনা বসুর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পিছনে তাঁদের কিছু ভূমিকা আছে। তাই ১৯৬১ সালের ভিয়েনা চুক্তির ৩১ ও ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ মেনে যাতে সেই আধিকারিকদের কূটনৈতিক রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হয় রাশিয়ান দূতাবাসের কাছে সেই অনুরোধ করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। সুপ্রিম কোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়ে এই কথা জানাল এস জয়শঙ্করের মন্ত্রক।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চে হওয়ার কথা এই মামলার শুনানি। তার আগে আদালতের নির্দেশে যে রিপোর্ট জমা দিল বিদেশমন্ত্রক, তাতে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ মেনে রাশিয়ান দূতাবাসের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে তারা যেন ভিক্টোরিয়া ও তাঁর পুত্র স্তাভ্যকে দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করে। রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, একদিকে রাশিয়ান দূতাবাস বিদেশমন্ত্রককে জানিয়েছে যে, তাদের কোনও আধিকারিক ভিক্টোরিয়ার দেশ ছাড়ার সঙ্গে জড়িত নয়। আবার দূতাবাসের তরফে এও বলা হয়েছে, ভিক্টোরিয়ার মা ওলগা জিগালিনার অনুরোধে বিহার যাওয়ার জন্য একটি ট্যাক্সি বুক করে দিয়েছিলেন দূতাবাসের কাউন্সেলর আর্থার গার্বস্ট।
আগেই অভিযোগ উঠেছে, দিল্লি থেকে বিহার হয়ে সীমান্ত পার করে নেপালে গিয়ে শারজা ঘুরে মস্কো পালিয়েছেন ভিক্টোরিয়া। এবার তাঁর মায়ের বিহার যাত্রার প্রসঙ্গের উল্লেখ পাওয়া গেল রাশিয়া দূতাবাসের বক্তব্যে। একইসঙ্গে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে যে নেপালের দূতাবাসের তরফে জানা গিয়েছে ভিক্টোরিয়া তাঁর ছেলেকে নিয়ে ১২ জুলাই নেপাল থেকে শারজা হয়ে মস্কো গিয়েছিল। সব বিষয়কে এক সুতোয় গেঁথে রাশিয়ান দূতাবাসের আধিকারিকদের জেরা করতে চায় দিল্লি পুলিশ। এই উল্লেখ করেই রাশিয়া দূতাবাসের কাছে দুই আধিকারিকের রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার আবেদন করেছে বিদেশমন্ত্রক।