দুস্থ শিশুদের জন্য খুলেছিলেন পাঠশালা, বহরমপুরে সেই বাবর আলির সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল
প্রতিদিন | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুর: সালটা ২০০২। নিজের বাড়ির উঠানে পাঠশালা খুলেছিলেন সেই সময় বছর ৯-য়ের বালক বাবর আলি। নাম দিয়েছিলেন ‘আনন্দ শিক্ষা নিকেতন’। কোনও সরকারি সাহায্য ছাড়াই বেলডাঙা ১ ব্লকের ভাবতা গ্রাম-সহ এলাকার গরিব বাচ্চাদের সেই পাঠশালা ২৩ বছর ধরে আজও চলছে।
সেদিনের বাবর আজ যুবক। মঙ্গলবার তাঁকে ডেকে পাঠশালার খবর নিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার বহরমপুর সার্কিট হাউসে বাবরের সঙ্গে পাঁচ মিনিটের সাক্ষাতে বিশদে তাঁর খোঁজখবর নেন রাজ্যপাল।
ওই পাঠশালায় বর্তমানে ৪০০ ছাত্রছাত্রী। দশজন অবৈতনিক শিক্ষক-শিক্ষিকা পড়ান। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত প্রসঙ্গে বাবর বলেন, “মঙ্গলবার কলকাতা থেকে আমি হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস ট্রেনে বেলডাঙার বাড়ি ফিরছিলাম। ওই ট্রেনেরই অন্য কামরায় ছিলেন রাজ্যপাল। আমি বেলডাঙা স্টেশনে নামার পর আমার মোবাইলে রাজ্যপালের দপ্তরের সচিবের (ওএসজি) ফোন আসে। তিনি জানান, রাজ্যপাল বহরমপুর সার্কিট হাউসে আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। আমি পরের ট্রেন ধরে বহরমপুর সার্কিট হাউসে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করি।” বাবর আরও বলেন, “রাজ্যপাল আমার আনন্দ শিক্ষা নিকেতনের খবর নিয়েছেন। ভালভাবে বিদ্যালয় চালানোর জন্য বলেছেন। ছাত্রছাত্রীরা যাতে উচ্চশিক্ষা পায় সেদিকে আরও নজর দিতে বলেছেন।”
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে বাবরের সেই উদ্যোগ দেখতে পাঠশালায় গিয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে দিল্লিতেও পৌঁছে যায় বাবরের পাঠশালার খবর। ২০২০-এ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বাবরের ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁকে সংবর্ধনা দেন। মঙ্গলবার তাঁকে ডেকে পাঠশালার খবর নিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।