• জিয়াগঞ্জে অরিজিৎ সিংয়ের আমন্ত্রণ রক্ষা রাজ্যপালের, ছাত্রীদের সঙ্গে গাইলেন গানও
    প্রতিদিন | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব সংবাদদাতা, লালবাগ: ট্রেন সফরে আলাপ হওয়া শিক্ষিকার আমন্ত্রণে সটান জিয়াগঞ্জের এসএন বালিকা বিদ্যালয়ে চলে গেলেন রাজ‌্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে গাইলেন রাজ‌্যের সঙ্গীত, ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ও! ওই স্কুলকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি স্কুলের সেরা পড়ুয়া, বেস্ট টিচিং স্টাফ ও নন টিচিং স্টাফকে সম্মানিত করার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। নির্ধারিত সূচির বাইরেই ছিল রাজ্যপালের ওই সফর। পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী অরিজিত সিংয়ের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি।

    রাজ্যপাল কলকাতা থেকে হাজারদুয়ারী এক্সপ্রেসে এদিন বহরমপুর যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ট্রেনে তাঁর সহযাত্রী ছিলেন এসএন বালিকা বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষিকা চন্দ্রানী হালদার। তিনিই তাঁকে তাঁদের স্কুলে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তা আর ফেলতে পারেননি রাজ্যপাল! এদিকে জিয়াগঞ্জে মধ্যাহ্নে রাজ্যপালের বিশ্রামের ব্যবস্থা হয় ভাগীরথীর পাড়ে বিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন পড়ুয়ার বাড়িতেই। তার আগে প্লে ব্যাক সিঙ্গার অরিজিৎ সিংয়ের আমন্ত্রণে নির্ধারিত সময়সূচি মেনে বেলা ১টায় রাজ্যপাল যান জিয়াগঞ্জের মহাবীর সভাকক্ষে। সেখানে তিনি অরিজিৎকে পাশে নিয়েই তাঁর প্রয়াত মা অদিতি সিংয়ের নামাঙ্কিত অদিতি সুর সাধনালয় সংগীত স্কুলের মিউজিক ও থিয়েটার কর্মশালার সূচনা করেন। সেখান থেকেই যান জিয়াগঞ্জ সুরেন্দ্র নারায়ণ বালিকা বিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি ছাত্রীদের উৎসাহিত করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গানটি গেয়ে শোনান। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের উন্নয়নে দু লক্ষ টাকা অনুদানের কথাও ঘোষণা করেন।

    এই ব্যাপারে বিদ্যালয়ের টিচার ইন চার্জ ললিতা মণ্ডল বলেন, “রাজ্যপালের এই আগমন আমাদের গর্বিত করেছে। তিনি স্কুলের সেরা পড়ুয়া, সেরা টিচার ও সেরা নন টিচিং স্টাফকে সম্মানিত করবেন বলে জানিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে সেরাদের আলাদা আলাদা করে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলেও জানান।” রাজ্যপাল এদিন যান সীমান্তের লালগোলায়ও। সেখানে আটরশয়া এলাকার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ১৪৯ ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের সঙ্গে মিলিত হন। তাদের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি কয়েকজন সীমান্তবাসী নাগরিকের সঙ্গেও কথা বলেন। তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন। এই ব্যাপারে সীমান্তের নাগরিক আলাউদ্দিন শেখ বলেন, ”উনি জানতে চেয়েছিলেন এলাকায় চলাফেরা করতে কোনও সমস্যা হয় কিনা। সীমন্তে কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা।” রাজ্যপালকে হাতের নাগালে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা নদী ভাঙনের স্থায়ী সমাধান ও সড়ক সংস্কারের দাবি করেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)