ইথিওপিয়ার আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের মেঘ সরল আরও পূর্বে, ভারতে ফের স্বাভাবিক বিমান পরিষেবা
বর্তমান | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লি: ‘ছাইয়ের মেঘ’ সরল আরও পূর্বে। ফলে অযাচিত বিপত্তি কাটিয়ে ফের দেশজুড়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরল বিমান পরিষেবা। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায় হায়লি গুব্বি আগ্নেয়গিরি ১০ হাজার বছর পর জেগে ওঠায় বিপত্তির সূত্রপাত। অগ্নুৎপাতের ফলে নির্গত ছাইয়ের মেঘ পূর্বদিকে চার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ঢুকে পড়েছিল ভারতের আকাশে। দিল্লি তথা উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তা ছড়িয়ে পড়ায় সোমবার বহু বিমান বাতিল করতে হয়েছিল। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জারি করা হয়েছিল প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা। আকাশে ভাসমান সেই ‘ছাই-দানব’ এদিন আরও পূর্বদিকে উড়ে যাওয়াতেই রেহাই মিলল ভারতের।
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এদিন হাতে গোনা কিছু ক্ষেত্রে রুট বদল করা হয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে ভারতজুড়ে বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। এর আগে এদিন মৌসম ভবনের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, ছাইয়ের ওই মেঘ ভেসে চীনের দিকে সরে যাওয়ায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে ভারতের আকাশ পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে।
আইএমডি সূত্রে খবর, ইথিওপিয়ায় রবিবার অগ্নুৎপাতের ফলে নির্গত ছাইয়ের মেঘ ১৪ কিলোমিটার পর্যন্ত উপরে উঠে যায়। প্রবল হাওয়ার টানে সেই ছাইয়ের মেঘ লোহিত সাগর হয়ে ইয়েমেন ও ওমান পেরিয়ে পূর্বদিকে আরব সাগর অতিক্রম করে পশ্চিম ও উত্তর ভারতে ঢুকে পড়েছিল। তবে এই ছাইয়ের মেঘের জেরে দিল্লি তথা উত্তর ভারতের বায়ুদূষণে বাড়তি কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মতপ্রকাশ করেছিলেন মহাপাত্র। তাঁর দাবি, ছাইয়ের কণাগুলি বায়ুমণ্ডলের অনেক উপরের স্তরে থাকায় দূষণ মাত্রায় বিশেষ হেরফের হাওয়ার কথা নয়। তবে আগ্নেয়গিরি ছাই প্রভাব না ফেললেও মঙ্গলবারও দিল্লিতে বাতাসের গুণমানে উন্নতির লক্ষণ মেলেনি।