সংবাদদাতা, কল্যাণী: এক সময়ে জল টলটল করত মরালী নদীতে। দেখা যেত স্বাভাবিক স্রোত, গতি। নদী এপার-ওপার করতে নৌকা লাগত। নদীতে মাছ ধরে অনেকের জীবিকাও চলত। পাশে থাকা জমিতে চাষের কাজে এই নদীর জল ব্যবহার করা হত। কিন্তু বর্তমানে মরালীর অবস্থা ভাল নয়। চাকদহ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে দিয়ে নদীটি প্রবাহিত হয়েছে। নদীর বিস্তীর্ণ এলাকা কচুরিপানায় ঢেকেছে। কোথাও নদী খুব সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে, কোথাও আবার জল খুবই সামান্য। কোথাও বাঁধ দিয়ে নদীর গতিপথ রোধ করা হয়েছে। কোথাও পাড় দখল করে হচ্ছে চাষ, তৈরি হয়েছে বসতবাড়িও। এই সমস্যা থেকে মরালীকে মুক্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই অনুসারে চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতি জানিয়েছে, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই নদী সংস্কার করার দাবিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করেছে চাকদহ বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা। সেই সংগঠনের সভাপতি তথা পরিবেশকর্মী বিবর্তন ভট্টাচার্য বলেন, নদীকে রক্ষা করতে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে লড়াই শুরু হয়েছে। এই নদী সংস্কার করতে পারলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। মৎস্যজীবীরা যেমন মাছ ধরতে পারবেন, তেমনই চাষের কাজে, অথবা পাট জাক দেওয়ার জন্যেও নদীর জল ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও অতিরিক্ত বৃষ্টিতে এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। তার হাত থেকেও রক্ষা পাবেন বাসিন্দারা। এমনকী এখানে কাজ না পেয়ে অনেকে ভিনরাজ্যে চলে যাচ্ছেন। তাঁদেরকেও আটকানো যাবে।
চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শ্রীকান্ত রায় বলেন, মরালি নদী সংস্কার করা হোক– এটা আমরাও চাইছি। এজন্য আমরা প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছি। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পেলে কাজ শুরু হবে।-নিজস্ব চিত্র