দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে নারাজ বহু কৃষক, টার্গেট পূরণ নিয়ে আশঙ্কা
বর্তমান | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কৃষকদের থেকে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ‘সেন্ট্রালাইজড প্রকিউরমেন্ট সেন্টারে’ গিয়ে ধান বিক্রির অগ্রগতির চিত্র দেখে আপাতত সন্তুষ্ট খাদ্য বিভাগের কর্তারা। কিন্তু ধান বিক্রির জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন যে সংখ্যক কৃষক, তা অনেকটাই কম বলে দাবি তাঁদের। কর্তাদের আশঙ্কা, ধান কেনার প্রক্রিয়ার শুরুটা ভালো হয়েছে ঠিকই। কিন্তু কৃষকদের নথিভুক্তির হার না বাড়লে খাদ্য দপ্তরের বেঁধে দেওয়া টার্গেট পূরণ করতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আরও বেশি কৃষক যাতে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে এগিয়ে আসেন, তার জন্য ব্লক ও মহকুমাস্তরে লাগাতার প্রচার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জেলায় ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় ৮ লক্ষ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ধান বিক্রির জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন ৬৭-৬৮ হাজার কৃষক। এই সংখ্যা কম করে দুই থেকে আড়াই লক্ষ হওয়া উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। কিন্তু কেন বিপুল সংখ্যক চাষি সরকারি কেন্দ্রে ধান দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না, তা নিয়ে ধন্দে সব পক্ষই। এক আধিকারিকের কথায়, ‘এক শ্রেণির কৃষক বেশি টাকা দিয়ে বাজারে ধান বিক্রি করছেন। তাছাড়া, অনেকে ভালো পরিমাণ ধান রেখে দিচ্ছেন নিজেদের খাওয়ার জন্য। বাকিদের ক্ষেত্রে কোথায় অনীহা, সেটা বোঝা যাচ্ছে না।’ এবার জেলাকে ২ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনেছে জেলা প্রশাসন। গত বারের থেকে এবার ধান কেনায় গতি বেড়েছে বলেই অভিমত আধিকারিকদের। তাছাড়া, আগের বারের তুলনায় এবার কৃষকদের নথিভুক্তির সংখ্যা কিছুটা হলেও বেড়েছে। কিন্তু আগামী দিনে তা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলেই মনে করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে কৃষি, কৃষি বিপণন দপ্তরের পাশাপাশি ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। সেখানেই এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কীভাবে আরও বেশি সংখ্যক কৃষককে সরকারি জায়গায় ধান বিক্রি করতে উৎসাহ দেওয়া যায়, তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছে প্রশাসন।