নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: বারাকপুরের লাইফ লাইন বলে পরিচিত এস এন ব্যানার্জি রোডে রোজ পথচলতি মানুষকে যান যন্ত্রণায় জেরবার হতে হচ্ছে। সকালে ও বিকেলের দিকে চিড়িয়ামোড় পার করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকাল ও সন্ধ্যায় যানজটে জেরবার বারাকপুর স্টেশন চত্বর এলাকা। বিশেষ করে বারাকপুর কোর্টের সামনে রাস্তার উপর গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় এক লেন দিয়ে সব গাড়ি চলে, যানজট আরও বাড়ে। এই যান-যন্ত্রণা থেকে নাগরিকদের মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন ডিসি ট্রাফিক অম্লানকুসুম ঘোষ সহ ট্রাফিক বিভাগের কর্তারা। সোমবার গভীর রাতে তাঁরা গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন।
চিড়িয়ামোড় থেকে গাড়ি নিয়ে পাইপ রোডে ঢোকার সময় মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে বাইকে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। তাই পুলিশকর্তারা ভাবছেন, পাইপ রোডে কোনও গাড়ি সোজা ঢুকবে না। আরেকটু এগিয়ে বারাকপুর আদালতের উল্টোদিকের রাস্তা দিয়ে ঢুকবে। সেখান থেকে ঢুকে গাড়ি ঘুরে পাইপ রোডে আসবে। সেই সঙ্গে স্টেশন রোডে কী করে অটো, টোটো নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে ডিসি ট্রাফিক বলেন, গোটা বিষয়টি পরিকল্পনাস্তরে রয়েছে। আলোচনা হচ্ছে। চূড়ান্ত হলে জানাব।
বারাকপুর স্টেশন থেকে মহকুমা শাসকের অফিস পর্যন্ত রোজ যানজট লেগেই রয়েছে। তবে সব থেকে বেশি যানজট হচ্ছে সকালের দিকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। সেখানে অনেক নামীদামি স্কুল রয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে ছেলেমেয়েরা পড়তে আসে। স্কুলের গাড়িগুলোর জন্য তীব্র যানজট হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র