রাজ্য সরকারের হকার স্কিম, সাড়ে আট হাজার ব্যবসায়ীর আবেদন মধ্যমগ্রামে
বর্তমান | ২৬ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: ফুটপাতের অস্থায়ী বা ছোট ব্যবসায়ীদের স্বনির্ভর করতে ‘হকার স্কিম’ চালু করেছে রাজ্য সরকার। এর আওতায় ১৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার ঋণ পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মধ্যমগ্রাম পুরসভা এলাকায় এই হকার স্কিমের কাজ জোরকদমে শুরু হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট হাজার ব্যবসায়ী ঋণের জন্য আবেদন করেছেন।
করোনার সময় লকডাউনের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন ফুটপাথের অস্থায়ী ও ছোট ব্যবসায়ীরা। তাঁদের কথা ভেবেই চালু হয় হকার স্কিম। যাঁরা ফুটপাথে বা রাস্তার ধারে ঠেলা গাড়িতে করে, কিংবা এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করেন, তাঁদের ব্যবসার পুঁজি বৃদ্ধি করতেই এই ঋণের সুবিধা চালু করেছে সরকার। এখানে প্রথম দফায় ঋণ হিসেবে হকাররা পাচ্ছেন ১৫ হাজার টাকা। এক বছরের মধ্যে সামান্য ৪-৫ শতাংশ সুদে সেই ঋণ পরিশোধ করলেই দ্বিতীয় দফার ঋণ পাবেন তাঁরা। তার পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা। পরিশোধ করতে হবে দেড় বছরের মধ্যে। এরপর তৃতীয় পর্যায়ে হকাররা পাবেন ৫০ হাজার টাকার ঋণ। সেটা শোধ করতে হবে তিন বছরের মধ্যে। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ডিজিটাল লেনদেন করলে প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে বছরে ১২০০ টাকার ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে হকারদের। সরকারের এই হকার স্কিম কার্যকর করতে জোরকদমে কাজ করছে মধ্যমগ্রাম পুরসভার ন্যাশনাল আরবান লাইভলিহুড মিশন দপ্তরের কর্মীরা। ফুটপাতের হকারদের কাছে গিয়ে তাঁদের এই ঋণ পাওয়ার বন্দোবস্ত করে দিচ্ছেন ওই কর্মীরা।
জামাকাপড় বিক্রেতা রীতা রায় বলেন, গত বছরের পুজোর সময় পুঁজির অভাবে সেভাবে পোশাক তুলতে পারিনি। এই বছর ঋণ পেলে ব্যবসা বাড়িয়ে নিতে পারব। সুদের হারও কম। এই প্রসঙ্গে পুরসভার এনইউএলএম বিভাগের সিটি ম্যানেজার প্রদীপ্ত দুবে বলেন, পুরসভা এলাকায় সাড়ে আট হাজার হকার ব্যবসায়ী ঋণের জন্য আবেদন করেছেন।