নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির রাস্তার ধরে কখনও হন হন করে হেঁটে যাচ্ছেন সেফটিপিন ম্যান। কখনও আবার তিনি ঢুকে পড়ছেন দোকানে, বাজারে কিংবা বাড়িতে। তাঁকে ঘিরে জমছে ভিড়। মোবাইলে উঠছে ছবি। এমনকি রাস্তায় থমকে যাচ্ছে গাড়ি! কিন্তু কে এই সেফটিপিন ম্যান? এলেনই বা কোথা থেকে? আসলে তাঁর নাম অধীর বর্মন। বাড়ি ফালাকাটার মশলাপট্টিতে। আগে অন্য ব্যবসা করতেন। লাভ না হওয়ায় ছেড়ে দিয়েছেন। এখন ঘুরে ঘুরে সেফটিপিন বিক্রি করেন। কিন্তু ট্রেনে-বাসে, হাটে-বাজারে কিংবা দোকানে অনেকেই তো সেফটিপিন বিক্রি করেন। তাহলে অধীর বর্মন ভাইরাল হলেন কেন? কারণ, না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল। আসলে অধীরের সারা শরীরে সেফটিপিন। জামা-প্যান্ট, টুপি, চশমা সবেতেই সেফটিপিন গাঁথা। এভাবেই তিনি ঘুরে বেড়ান। লোকজন তাঁকে সেফটিপিন ম্যান বলে ডাকেন। ছোটরা ডাকে, সেফটিপিন দাদু। হাসিমুখে সাড়া দেন অধীর। হেঁকে বলেন, ৪০টা সেফটিপিন ১০ টাকা। লোকজন ভিড় জমায়। কেউ কেনে। কেউ আবার শুধু মোবাইলে ছবি তোলার জন্য এগিয়ে যায়। বিরক্তি নেই অধীরের। সেফটিপিন বিক্রি করতে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থেকে চলে এসেছেন জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে। বললেন, গত তিন বছর ধরে আমি ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় এভাবেই সারা শরীরে সেফটিপিন বিঁধিয়ে গ্রামে-গ্রামে হাট-বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যা বিক্রি হয় তা দিয়ে সংসার চলে যায়। আনন্দের সঙ্গে কাজ করি। নিজের রুজিরুটির ব্যবস্থা করার সঙ্গে, টেনশনে ভরা মানুষের জীবনে চলার পথে একটু আনন্দ দেওয়াই আমার লক্ষ্য।